আজ থেকে স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়তে গেলে স্মার্টফোন এই অ্যাপ বাধ্যতা মুলক !
ওয়েবডেস্ক : তরুণ চক্রবর্তী: স্মার্টফোন না থাকলে ট্রেনে চড়া যাবে না। কারণ, স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়তে গেলে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ। যাত্রীদের সংরক্ষিত টিকিটের পাশাপাশি মাস্ক ও আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকাও বাধ্যতামূলক। আর তাই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
লকডাউনের বাজারে গরিব মানুষকেও খুঁজে কিনতে হচ্ছে স্মার্টফোন। রেল সূত্রে খবর, করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই তাঁরা এই বন্দোবস্ত করেছেন। সেইমতো ইতিমধ্যেই টিটিই-দের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ, সোমবার থেকে চালু হচ্ছে ১০০ জোড়া বিশেষ ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন বাংলায় যাতায়াত করবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলেরও ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু হচ্ছে। এ ছাড়াও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের একাধিক ট্রেন চলবে উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে। দীর্ঘ লকডাউনের পর সোমবারই প্রথম উত্তরবঙ্গ সরসারি দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হবে পদাতিক এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।
তবে ট্রেনটির নাম আপাতত ‘পদাতিক’-এর বদলে হচ্ছে ‘স্পেশ্যাল এক্সপ্রেস’। সবই অবশ্য হবে পদাতিকের মতোই। বাকি স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিরও কোনও নাম থাকছে না। ফলকনামা, পূর্বা, দুর্গিয়ানা নাম উহ্য রেখে চলবে ট্রেনগুলি বিশেষ ট্রেনের নাম নিয়ে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ-পুরী এক্সপ্রেস আপাতত ভুবনেশ্বর পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
সোমবারের বদলে ট্রেনটি ছাড়বে মঙ্গলবার থেকে। পূর্ব রেলের সিপিআরও নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সংরক্ষিত টিকিট থাকলেই শারীরিক পরীক্ষার পর ট্রেনে চড়া যাবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিপিআরও সঞ্জয় ঘোষ যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছোতে অনুরোধ করেছেন।
রেল মন্ত্রকের নির্দেশিকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যাত্রীদের জন্য। সাধারণ কি-প্যাড ফোন থাকলে চলবে না। প্রয়োজন স্মার্টফোনের। রেলযাত্রী অজয় সাহার অভিযোগ, এর ফলে গরিব অংশের মানুষ বিপাকে পড়বেন। কারণ, তাঁর মতো অনেককেই ট্রেনে চড়ার জন্য কিনতে হচ্ছে স্মার্টফোন। এর জন্য তিনি মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে রেলের বক্তব্য, যাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই রেল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্মার্টফোনের পাশাপাশি যাত্রীদের শুকনো বা প্যাকেটজাত খাবার নিয়ে ট্রেনে ওঠারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাস্ক বা ফেস শিল্ড বাধ্যতামূলক।
তবে আইআরসিটিসি-র গ্রুপ ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ জানিয়েছেন, যাত্রাপথে রান্না না হলেও চা বা অন্যান্য খাবার বিক্রির জন্য তাঁদের লোকেরা থাকবেন।
যাত্রীদের পাশাপাশি রেলকর্মীদের জন্যও ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ট্রেন ছাড়ার আগে ড্রাইভার থেকে শুরু করে অন্য কর্তব্যরত কর্মীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া এখন থেকে সাধারণ বগিতেও রিজার্ভেশন টিকিট কেটেই উঠতে হবে যাত্রীদের। স্পেশ্যাল ট্রেন পুরোটাই থাকছে সংরক্ষিত।
সুত্র: আজকাল.in