মন্দারমণিতে ভেসে উঠল ৩৬ ফুট লম্বা তিমি! উপচে পড়া ভিড় উৎসুকদের
ওয়েবডেস্ক : রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সাতসকালে দূরে কিছু যেন একটা পড়ে রয়েছে। কাছে এগিয়ে যাওয়া মাত্রই চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয়দের। কারণ, মন্দারমণিতে (Mandarmani) ভেসে উঠল বিশালাকার সামুদ্রিক প্রাণীর দেহ। সমুদ্রতটে পড়ে থাকা প্রাণীটিকে দেখতে যেন হইচই পড়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ৩৬ ফুট লম্বা এই বিশালাকার প্রাণীটি হোয়েল (নীল তিমি) প্রজাতির বলেই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে যান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। এটি তিমি কিনা এখনও নিশ্চিত করে তা বলা সম্ভব হয়নি।
লকডাউনের সময় থেকেই অন্যান্য জায়গার মতো দিঘা, মন্দারমণিতেও বন্ধ পর্যটন। আনলক ওয়ানে শর্তসাপেক্ষে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তবে তা নগণ্যই বলা চলে। এই পরিস্থিতিতেই সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর মন্দারমণিতে সমুদ্রের পাড়ে বিশালাকার একটি
সামুদ্রিক প্রাণীর দেহ দেখতে পাওয়া যায়।সমুদ্র তটে ভেসে আসা ওই প্রাণীটি হোয়েল (নীল তিমি) প্রজাতির বলেই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। তাকে দেখতে সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমান বহু মানুষ।
এর আগেও বহুবার দিঘা, মন্দারমণিতে তিমি ভেসে এসেছে। তবে সেগুলি আকারে ছোট ছিল। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর দিঘা মোহনা থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল সমুদ্রের গভীর থেকে মৃত অবস্থায় একটি তিমি উদ্ধার করা হয়। যা ৪৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া ছিল। তিমিটির ওজন অন্তত ১৮ টন।
মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করেছিলেন তিমিটিকে। পরে সেটিকে টেনে দিঘা মোহনায় এনে তোলা হয়। এই তিমিটি কিন্তু সাধারণভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে বসবাস করে। সম্ভবত খাবারের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে সেটি বঙ্গোপসাগরে চলে আসে। এরপর কোনও জাহাজের ধাক্কায় তার মৃত্যু হতে পারে। এবং সেটি
মৎস্যজীবীদের জালে এসে আটকে পড়ে। তিমির কঙ্কালটিকে দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে৷ বর্তমানে চাইলে পর্যটকরা তা দেখতেও পারেন।
সুত্র: সংবাদ প্রতিদিন