ঝাড়গ্রাম

উন্নয়ন কাজে গাফলতি নয়, হুল দিবসে ঝাড়গ্রামে এসে প্রশাসনকে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

উন্নয়ন কাজে গাফলতি নয়, হুল দিবসে ঝাড়গ্রামে এসে প্রশাসনকে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী - West Bengal News 24

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলের উন্নয়নে যাতে কোনও খামতি না থাকে সে ব্যাপারে প্রশাসন ও দলের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে রাজ্যস্তরের হুল দিবসের অনুষ্ঠানে এসে পার্থবাবু বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলের আদিবাসী-মূলবাসী মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুল বিদ্রোহে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে অধিকার রক্ষার আন্দোলন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলকে উন্নয়ন দিয়ে মানুষের অধিকারের মর্যাদা দিয়েছেন। সেই উন্নয়ন ও অধিকার দানের কাজে যেন কোনও ত্রুটি না হয়। কোথাও যেন মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন না হয়।’’ এদিন জেলা কালেক্টরেটের সিধু-কানু হলে রাজ্যস্তরের ‘হুল দিবস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমে ঠিক ছিল ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর অঞ্চলের কেচন্দা স্কুল মঠে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজ্যস্তরের হুল দিবস পালিত হবে। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রবল আপত্তিতে সোমবারই মঞ্চ খুলে ফেলতে হয়। পরে ঠিক হয় জেলা কালেক্টরেটের সভাঘরে অনুষ্ঠানটি হবে। তবে এদিন কেচন্দা মাঠে আদিবাসী ধর্মীয় প্রথায় সিধু-কানুকে স্মরণ করা হয়। প্রথমে সেখানে গিয়ে সিধু-কানুর ছবিতে ফুল দেন পার্থবাবু। হুল দিবসের পতাকা উত্তোলন করেন।

পরে বিকেলে জেলা প্রশাসনের সভাঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এদিন পার্থবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে প্রশাসন ও তৃণমূলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, উন্নয়ন কাজে প্রশাসন ও শাসকদলের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের একাংশ আধিকারিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন না। আবার প্রশাসনের কিছু আধিকারিক শাসকদলের কিছু বিশেষ লোকজনকে নিয়ে চলেন। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়েও নানা অভিযোগ রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূলের সদর দপ্তরে পৌঁছেছে। তার প্রেক্ষিতেই কী পার্থবাবু হুল দিবসের অনুষ্ঠানে ইঙ্গিতে এমন কথা বললেন? প্রশ্ন উঠছে!

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য