উঃ ২৪ পরগনা

টিটাগড়ে ফের প্রকাশ্যে শ্যুট আউট, গুলিতে ঝাঁঝরা ছাত্র তৌফিক

টিটাগড়ে ফের প্রকাশ্যে শ্যুট আউট, গুলিতে ঝাঁঝরা ছাত্র তৌফিক - West Bengal News 24

ওয়েবডেস্ক : ফের প্রকাশ্যে শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানার উরনপাড়া এলাকায় ।

দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিজের বাড়ির সামনে খুন হল এক কলেজ ছাত্র। মৃত ওই কলেজ ছাত্রের নাম তৌফিক আলি (২০)। সে বারাকপুর সুরেন্দ্র নাথ কলেজের কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কলেজ ছাত্র তৌফিক আলিকে তাঁর বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীরা এসে পরপর ৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে খুন করে। সবকটি গুলি তৌফিক আলির শরীরে লাগে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে টিটাগড় থানার উরনপাড়া এলাকায়।

নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই কলেজ ছাত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন টিটাগড় থানার পুলিশকে । পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তৌফিক আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালের মর্গে দেহটি পাঠায়।

আরও পড়ুন : ফের রাজ্যে শুটআউট, দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা বসিরহাটের ব্যবসায়ী

এদিকে এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসছে ছোটু নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর নাম। তৌফিক আলীর বাবা বলেন, “আমার ছেলে কলেজে পড়ত। কোনও ঝামেলায় ও যেত না। রাত ৮ টা নাগাদ ওর সঙ্গে ছট্টুর সামান্য বচসা হয় রাস্তায় বাইক রাখা নিয়ে। সেই ঘটনা তখন মিটেও যায়, তবে এর কিছুক্ষণ পরেই ওই দুষ্কৃতী তার দুজন শাগরেদকে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে আমার ছেলের উপর পরপর ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। বাড়ির সামনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আমার ছেলে। সবার চোখের সামনে ও মারা গেল । ওই দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা । ওদের ফাঁসি হোক।”

এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ছট্টু এলাকায় সন্ধ্যা হলেই মদের আসর বসায়। বাইরের দুষ্কৃতীদের ইদানিং আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল পাড়ায়। ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেল ? খুঁজে বের করতে হবে পুলিশকে।

এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ২ অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে । পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে ছট্টুর সঙ্গে তৌফিকের পুরনো শত্রুতা ছিল। ওই দুষ্কৃতীর অসামাজিক কাজে একাধিকবার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তৌফিক। সেই শত্রুতার কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । ওই কলেজ ছাত্রের দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবেদক : প্রতীতি ঘোষ
সুত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য