দিঘা বাজারে দৈত্যাকার শংকর, মাছ দেখতে ভিড় স্থানীয়দের
দিঘায় এ বার মত্স্যজীবীর জালে উঠল বিশাল আকারের চিলশঙ্কর মাছ। চিলশঙ্কর মাছ সাধারণত পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও এত বড় আকারের এই মাছ সত্যিই দুর্লভ। স্বভাবতই মোহনার কাছে এত বড় মাছ উঠেছে জেনে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাছটিকে দেখতে অনেকটা উড়োজাহাজের মতো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওড়িশার এক ট্রলার মালিকের জালে ওঠে এই মাছটি।
রানাঘাটের এক পাইকার এটি কিনে নিয়েছেন। মাছটি খেতে খুবই ভাল বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। ওই পাইকার বিক্রি করার জন্যই এটি কিনেছেন। মাছটির দাম কয়েক লক্ষ টাকা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করেছিলেন মত্স্যজীবীরা। স্থানীয় মত্স্যজীবী শেখ আজিজুল বলেন, ‘এটা চিলশঙ্কর মাছ। ৭৮০ কিলো ওজন। একুশশো টাকা কেজি দরে মাছটা বিক্রি হয়েছে।’
দিঘায় এখন অল্প সংখ্যক হলেও পর্যটক রয়েছেন। তাঁরা এই মাছ দেখতে ভিড় করেন মোহনার কাছে। এলাকার লোকজনের সঙ্গেও তাঁরাও মাছটির ছবি তুলতে শুরু করেন। পরে মাছটিকে নবকুমার পয়ড়্যার কাঁটাতে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকেই বিক্রি হয়। মার্চ মাসে দিঘার মত্স্যজীবীদের জালে বিশাল মাপের একটি শঙ্কর মাছ উঠেছিল।
ওজন ছিল ৯০০ কিলো। মাছটি আবার একটি গাড়িতে ধরছিল না। সেই মাছটিকে দেখতেও বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। মাছটি কাঁথির এক মত্স্যজীবীর জালে ধরা পড়েছিল। মাছটি নিলামে বিক্রি হয়েছিল দিঘা মোহনার কালীপদ শ্যামলের কাঁটায়। গত বছরের শেষ দিকে মেচেদায় একটি বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছিল।
মেচেদা থেকে তার আগে স্মরণকালে কোনও সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার হয়নি বলে তখন জানিয়েছিলেন মত্স্যজীবীরা। বন দফতরের লোকজন কচ্ছপটিকে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে যান। বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী নয়, লকডাউন শুরু হওয়ার পরে দিঘার সৈকতে বহু পরিযায়ী পাখিরও দেখা মিলেছিল।
সমুদ্রের ধার শুনশান হয়ে যাওয়ায় তারা একানে আসে। কাদাখোঁচার মতো পাখি এই সব জায়গায় বিরল না হলেও সমুদ্রের তীরে তখন দেখা গিয়েছিল পরিযায়ী হাঁসের। অবাধে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় নানা প্রজাতির বককেও। গত মাসের শেষে দিঘার অদূরে মন্দারমণির সৈকতে বিশাল মাপের তিমি ভেসে এসেছিল। সেটির দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেটি ছিল লম্বায় ৩৫ ফুট ও চওড়ায় দশ ফুট।
[ আরও পড়ুন : মন্দারমণিতে ভেসে উঠল ৩৬ ফুট লম্বা তিমি! উপচে পড়া ভিড় উৎসুকদের ]
সুত্র: THE WALL