জেনে নিন কেমন ছিল বিমান দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্ত
অবতরণের ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। তারপর হঠাত্ তীব্র ঝাঁকুনি এবং সব শেষ। খাদে পড়ে দু’টুকরো হয়ে গেল বিমান
১৯ টি প্রাণ গিয়েছে, ১২০ জন লড়ছেন জীবনের লড়াই। এই আবহেই সামনে আসছে ঠিক কী ভাবে এতবড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গেল কোঝিকোড়ে।
রবিবার কেরল পুলিশের এক আধিকারিক আব্দুল করিম জানান, কোঝিকোড়ের দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি এও জানান, ওই বিমানের চার কেবিন ক্রু-র অবস্থা স্থিতিশীল।
কেরলের ঘটনার পর দুদিন পেরিয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় বহু তত্ত্ব সামনে এসেছে নানামহল থেকে। কেউ বলেছেন পাইলট অদক্ষ, কেউ আবার পাইলটের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বলেছেন রানওয়ের ফ্রিকশান টেস্ট হয়নি। কেউ আবার বোয়িং বিমানকে দায়ী করেছেন, কিন্তু তথ্য হল, এই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটির বয়স মাত্র ২ বছর।
[ আরও পড়ুন : ছেলেকে উলটো করে বেঁধে বেধড়ক মার, ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার বাবা ]
ফাঁকটা তাহলে কোথায়! হাসপাতালের বেড থেকেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেনৱ রঞ্জিত পানানগড। তিন বছরে প্রথমবার তিনি দেশে ফিরছিলেন নির্মাণ সংস্থায় কাজ হারিয়ে। তাঁর কথায়, হামাগুড়ি দিয়ে ইমার্জেন্সি এক্সিটের কাছে এসেছিলেন বলেই তিনি বেঁচে যান।
তবে ভুলতে পারছেন না কিছুই। থেকে থেকে ফিরে আসছে অবহ স্মৃতি। বলছেন, “আমি কিছুই বুঝতে পারছি না, শুধু রক্তাক্ত মুখগুলি চোখের সামনে ভাসছে। মনেও পড়ছে না সবটা। শুধু মনে আছে, প্লেন অন্য সময়ের মতোই অবতরণের বার্তা দিয়েছিল। তারপর বিরাট শব্দ হয়। এবং প্লেনটি রানওয়ে ছুঁয়েও পিছলে যায়।”
কোঝিকোড়ের রানওয়ে যে অবতরণের পক্ষে ঝুঁকিমূলক তা বহুবার বলার পরেও পদক্ষেপ নেয়নি কোনও পক্ষই। ২৮৫০ মিটার উঁচুতে অবস্তিত এই রানওয়ের লাগোয়াই ৩৪ মিটারের গর্ত।
উল্লেখ্য ইউনাইউটেড নেশানস সিভিল অ্যাভিয়েশানের ম্যানুয়াল বলছে কোঝিকোড়ে যতটা জায়গা তার চেয়েও অন্তত ১৫০ মিটার অর্থাত্ ৪৯২ ফুট বেশি বাফার এরিয়া প্রয়োজন।
[ আরও পড়ুন : ৮ কোটি চাষির অ্যাকাউন্টে দেওয়া হল ১৭,১০০ কোটি ]
সুত্র: News18