দাম্পত্য জীবনে সুখ চাইলে স্ত্রীদের যে কাজগুলো করা উচিৎ

আজকালকার নারীরা খুব সচেতন যে কোন ব্যাপারেই। তাদের সকলেরই কম বেশি জানা থাকে বিবাহিত জীবনে কী করে চলতে হবে। কিন্তু স্বামী নিয়ে সু-সংসার করার মতো জ্ঞান কয়জনেরই বা থাকে। কারণ একটি পরিবারে যখন মেয়েরা বড় হয় তখন তারা স্বাভাবিক ভাবেই বাবা-মায়ের কাছে অনেক আদরের রাজকন্যা থাকে। আর অনেকেই সেই আমেজ নিয়ে বেড়ে ওঠার কারণে হয়তো বুঝতেও পারেন না স্বামীর সাথে সংসার করতে গেলে তো আর বাবা-মায়ের সেই রাজকন্যা সুলভ আচরণ নিয়ে থাকা যাবেনা। বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। সংসার নামের দীর্ঘ এই জীবন পাড়ি দিতে হলে বাচ্চা সুলভ আচরণ বদলাতে হবে এবং অনেক কঠিন বাস্তবতাও মেনে নিতে হবে।

১। বিয়ের পর অবশ্যই মায়ের আঁচল ছাড়া উচিৎ। কারণ তখন আপনি নিশ্চয়ই সেই ছোট্ট মেয়ে নন যে মায়ের কথায় খেতে হবে, বাবার কথায় বসতে হবে। এখন আপনি একজনের স্ত্রী, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা কাজে লাগিয়েই চলুন।

২। স্বামীকে বলুন আমি তোমাকে ভালোবাসি। বিয়ে পুরনো হয়ে গেলেও বলুন এই কথাটি। মুখে বলতে না পারলেও চোখে-চোখে, সামান্য হাতের ছোঁয়ায় কিংবা এক টুকরো চিরকুটে লিখে দিন মনের কথাগুলো। শরীর দিয়ে ভালোবাসার কথা বলুন কারণ বিবাহিত জীবনে যৌনতায় কোন লজ্জা নেই।

৩। পজিটিভ স্মৃতিচারণ করুন। স্বামীর সাথে ঝগড়া মুহূর্তগুলো নয়, ভালোবাসার মুহূর্তগুলো মনে করুন। কবে একসাথে কেমন করে বৃষ্টিতে ভিজে ছিলেন, কবে কে কেমন করে ভালোবাসার কথা বলেছিলেন, কীভাবে প্রথম চুমু খেয়েছিলেন, হানিমুনে কেমন বেড়িয়েছিলেন সে সব কথা ভাবুন। পুরনো ছবি দেখুন। দেখবেন রোজকার সাংসারিক ঝামেলা যে সুখের স্মৃতির ওপর ধুলো ফেলে দিয়েছিল, সেই ধুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেই বুকে জেগে উঠবে পুরনো ভালোবাসা নতুন করে।

৪। স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ মেনে চলুন। স্বামী আপনার পছন্দ বুঝে চলবে আর আপনি স্বামীর, এই তো হয়ে গেল শোধবোধ। এই বুদ্ধিতে চললে কারো ইগোতে লাগবেনা।

৫। শ্বশুরবাড়ির সাথে ভাল সম্পর্ক রাখুন। আলআদা কিংবা একসাথে থাকলেও, কারণ আপনার দাম্পত্য সুখের রিমোট কন্ট্রোলটা কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ির হাতে। আপনি তাদের অবহেলা করলে স্বাভাবিক ভাবেই স্বামী রেগে যাবেন, কষ্ট পাবেন। আপনার বাবা-মাকে স্বামী অবহেলা করলে নিশ্চয়ই আপনারও কষ্ট লাগে। তাই সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

৬। স্বামীর ভালোবাসা প্রকাশ করার ভাষাগুলোকে বুঝে নিন। কারণ একেকটি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশ করার ভাষা একেক রকম। তাই তা বোঝার চেষ্টা করুন। স্বামীর চাওয়াপাওয়া কে কখনোই এড়িয়ে চলাটা ঠিক হবে না।

তথ্যঃ allwomenlife.com, Marriage Tips Every WIFE Needs to Hear, হতে অনুপ্রানিত