বাংলায় সাইকেল তৈরির কারখানা করতে চান মমতা
বছরে ১০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে। এই অবস্থায় বাংলায় সাইকেল তৈরির কারখানা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনটাই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি এখানে সাইকেলের কারখানা করতে চাই। প্রতি বছর অনেক সাইকেল নিচ্ছি। যারা একসঙ্গে অনেক সাইকেল অর্ডার পাচ্ছেন,তারাই সাইকেল কারখানা তৈরি করতে পারেন। ভিন রাজ্যে থেকে সাইকেলের পার্স না এনে, আমি চাই এই রাজ্যেই তা তৈরি হোক। এখানে কেন চারটে সাইকেল কারকাখা হতে পারে। তাতে অনেকে কাজ পাবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতি বছর ১০ লাখ করে সাইকেল দিচ্ছি বিনামূল্যে। সাইকেলের কোয়ালিটি যেন ভাল হয়। কোয়ালিটির সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবো না। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি বছরে স্কুল থেকে ‘সবুজসাথী’ সাইকেল বিলি করা হবে না।
স্কুল থেকে আইসিডিএস বা আশা কর্মীদের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির ঠিকানায় সাইকেল পৌঁছে দেবে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার স্কুল থেকে ‘সবুজসাথী’ সাইকেল বিলি করা হবে। সোমবার ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ আরও পড়ুন : করোনা ওয়ার্ডেই খাবারের সাথে মদ খাচ্ছেন রোগী! ছবি ভাইরাল ]
সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন তিনি। এদিন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। মঙ্গলবার আরও ৫ জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক। জেলাগুলি হল দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।
নবান্নের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পরে মেরামতি হয়েছে। তারপরেও বাঁধ ভাঙছে। তাহলে কি তাড়াহুড়োয় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি?’ ঝাড়খণ্ড থেকে ডিভিসির জল ছাড়লে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন মমতা। বলেছেন, ‘ডিভিসি জল ছাড়লে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালেও জল ঢোকার আশঙ্কা আছে।’
মমতা এদিন আরও বলেন, ‘ত্রাণের টাকা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়ে দিতে হবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে হবে।’ তাঁর দাবি, অন্যান্য সব রাজ্যে বন্যার সমস্যা খুব একটা নেই, কিন্তু বাংলায় আছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং করা হয়নি, করলে এই সমস্যা হত না বলে মনে করেন তিনি।
যেসব জেলায় বন্যার সম্ভাবনা, সেখানে প্রশাসনিক কর্তাদের ঘুরে দেখার কথাও বলেন তিনি। এছাড়া কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন,এখনও কেন্দ্রের কাছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাব,পাইনি। সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা জিএসটি বকেয়া আছে। কোভিড ,কোথায় টাকা। লক্ষ লক্ষ মাস্ক দিচ্ছি । তাছাড়া কত কষ্ট করে বেতন দিচ্ছি। যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, ভেবেছেন কোথা থেকে টাকা আসছে?
সুত্র : কলকাতা24×7