প্লাজমা থেরাপিতে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না, বলছে আইসিএমআর
ভারতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য অনেক দিন আগেই শুরু হয়েছে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। এই থেরাপির ফল ইতিবাচক বলেই জানিয়েছে অনেক রাজ্য। কিন্তু এই পাজমা থেরাপির ফলে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না, এমনটাই জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।
ভারতের ৩৯টি হাসপাতালে এই প্লাজমা থেরাপির প্রভাব দেখে এই সংক্রান্ত গবেষণা করেছে আইসিএমআর। তারপরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে তারা। ২২ এপ্রিল থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত একটি মুক্ত, সমান্তরাল, দ্বিতীয় পর্যায়ের র্যান্ডম ট্রায়াল চালায় আইসিএমআর।
সেই ট্রায়ালের ফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া বা সিটিআরআই-এ লিপিবদ্ধও করে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের ৩৯টি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। এইসব রোগীরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন ও তাঁরা মধ্যম উপসর্গযুক্ত ছিলেন।
এই ৩৯টি হাসপাতালের মধ্যে ২৯টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল। ভারতের ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ২৫টি শহরে রয়েছে এই ৩৯টি হাসপাতাল। আইসিএমআর জানিয়েছে, ৪৬৪ জন রোগীর শরীরে এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা সবাই মধ্যম উপসর্গযুক্ত ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
তাঁদের মধ্যে ২৩৫ জনকে ইন্টারভেনশনে রাখা হয় ও বাকি ২২৯ জনকে কন্ট্রোলে রাখা হয়। ইন্টারভেনশনে থাকা রোগীদের শরীরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২০০ মিলিলিটার কনভালেসেন্ট প্লাজমার দুটি ডোজ দেওয়া হয়।
গবেষণায় জানানো হয়েছে, পরে দেখা গিয়েছে, ইন্টারভেনশনে থাকা রোগীদের মধ্যে ৪৪ জন অর্থাত্ ১৮.৭ শতাংশ ও কন্ট্রোলে থাকা রোগীদের ৪১ শতাংশ অর্থাত্ ১৭.৯ শতাংশের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে ইন্টারভেনশনে থাকা ৩৪ জন অর্থাত্ ১৩.৬ শতাংশ রোগী ও কন্ট্রোলে থাকা ৩১ জন অর্থাত্ ১৪.৬ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’
আইসিএমআর জানিয়েছে, এই গবেষণাতেই বোঝা যাচ্ছে কনভালেসেন্ট প্লাজমা মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে কাজে আসে না। আর তাই দুই ক্ষেত্রেই একই ধরনের ফল এসেছে। নইলে এই গবেষণার ফলে কিছু পরিবর্তন হত। প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে মানুষের শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে ও তা করোনার বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়ছে তার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ।
সুত্র: THE WALL