করোনা অতীত, বিজেপি-র সমাবেশ রুখতেই লকডাউন মমতার: দিলীপ ঘোষ

এক মাসের উপর দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে ভারত। দেশে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ ছুঁই ছুঁই। সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। কিন্তু তার মধ্যেই করোনাভাইরাস চলে গিয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কিন্তু তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিজেপিকে আটকানোর জন্য রাজ্যে লকডাউন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হুগলির ধনেখালিতে একটি জনসভায় এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, ‘করোনা চলে গেছে।
দিদিমনি শুধুমাত্র লকডাউন করছেন যাতে বিজেপি রাজ্যে কোনও সভা বা মিছিল করতে না পারে। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’ বিজেপির এই সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সামাজিক দূরত্ব কেউ মেনে চলেননি বলেই অভিযোগ। এভাবে জমায়েত করে বিজেপি আইনভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন শাসক দলের অনেক নেতা।
কেন্দ্রের তরফে আনলক চার পর্যায় শুরু হলেও রাজ্যে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেপ্টেম্বর মাসের ৭, ১১ ও ১২ তারিখ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষা থাকায় ১২ সেপ্টেম্বরের লকডাউন বাতিল করেছে সরকার।
আরও পড়ুন : বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নিযুক্ত হলেন অধীর চৌধুরী
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, সংক্রমণের চেন ভাঙার জন্যই এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত। তার ফলও মিলেছে। রাজ্যে মাঝে একটা সময় আক্রান্তের থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হচ্ছিল। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮৬ শতাংশ।
তৃণমূল সরকারের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি সভাপতি। এর আগেও বারবার তিনি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে নিজের মতো রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হচ্ছে বলেও মমতা সরকারকে দুষেছেন তিনি। গত ৫ অগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজোর দিন রাজ্যে লকডাউন ছিল। সেটাও মমতা সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন দিলীপ। ফের একই ধরনের অভিযোগ শোনা গেল তাঁর মুখে।
এদিকে বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে অনুরোধ করেছেন, করোনাকে হালকা ভাবে না নিতে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলা, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথা থেকেই পরিষ্কার, দেশে এখনও সংক্রমণ রয়েছে। অথচ তার ঠিক উল্টো কথা শোনা গেল বাংলার বিজেপি সভাপতির মুখে।
সূত্র: THE WALL