গালওয়ান, লাদাখ সংঘাতের পরেও চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইছে ভারত : বিদেশমন্ত্রক
বুধবার ফের শান্তির পক্ষে বার্তা দিল ভারত। এদিন লোকসভায় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কোনও ভাবেই চিনের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক চাইছে না ভারত। এমনকী এতগুলি সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও চিনের সঙ্গে ভারতের বন্ধন নষ্ট হয়নি।
বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ এদিন এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন। কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মুরলিধরণ জানান, এখনও পর্যন্ত ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। কিছুটা তিক্ততা থাকলেও, পুরোপুরি সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। দুই দেশই স্থিতাবস্থা ফেরাতে বৈঠকের টেবিলে বসছে।
এদিন বিদেশমন্ত্রক জানায়, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখাই ভারতের বিদেশনীতির প্রধান লক্ষ্য। বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতিতে ভারত বারবার এগিয়ে গিয়েছে। একাধিক প্রতিবেশী দেশে বেশ কিছু পরিকাঠামোগত ও উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে ভারত।
এদিকে, বুধবার সংসদে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হল, ‘গত ৬ মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি’। যদিও কেন্দ্রের এই জবাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। গত কয়েক মাস একাধিক সংবাদমাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্তে অনুপ্রবেশের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর চিনা সেনার সমাবেশ বাড়ানোর খবরও প্রকাশ্যে আসে। এমনকী মে মাসেই প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে চিনা সেনা ঢুকে পড়ার খবরও প্রকাশিত হয়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের অনুপ্রবেশ নিয়ে বুধবারের এই দাবি ঘিরে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলেই মনে করছে বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার সংসদে ভারত-চিন সংঘাত প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারত-চিন সংঘাত এখনও মেটেনি বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। চিনের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গেরও অভিযোগ তোলেন রাজনাথ।
মঙ্গলবার সংসদে রাজনাথ সিং জানান, ৩৮,০০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দখলদারির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন সেনা। ভারত-চিন সংঘাত মিটতে ধৈর্য্য ধরা প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে, কয়েকমাস কেটে গিয়েছে! এখনও লাদাখে একেবারে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে চিন। লাগাতার চড়ছে উত্তেজনার পারদ। দফায় দফায় ভারত-চিন সীমান্তে গুলির আওয়াজ।
এই পরিস্থিতিতে কি হবে ভারতের রণকৌশল? কীভাবে চিনকে ঠেকানো সম্ভব? সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা চায় কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেজন্যে জরুরি ভিত্তিতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়।
সুত্র: কলকাতা ২৪*৭