বলিউড

মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেছি: ভূমি পেডনেকর

মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেছি: ভূমি পেডনেকর - West Bengal News 24

গত কয়েকমাস ধরে নানা কারণে চর্চার মূল কেন্দ্রে ছিল বলিউড। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু, মাদককাণ্ড এবং নেপোটিজম নিয়ে সরব ছিল ভারতের অন্যতম বিনোদন জগত। নতুন সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার।

এক সাক্ষাৎকারে ভূমি বলেছেন, আমি কারও নাম করে কিছু বলতে চাই না। শুধু বলব, অনেক বিতর্কই অমূলক ছিল। তারকাদের প্রিভিলেজড বলে মনে করাটা একেবারে ভ্রান্ত ধারণা। আমাদের সকলকেই নিজেদের মতো করে স্ট্রাগল করতে হয়। আমার বোন আইনজীবী, ওরও নিজস্ব স্ট্রাগল রয়েছে। আর নেপোটিজ়ম কোথায় নেই? এক সময়ে কাস্টিং ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে আমি মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেছি। সেই চাকরিটাও কিন্তু আমাকে পরিশ্রম করে জোগাড় করতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন : মা হওয়ার পর নতুন ছবি শেয়ার করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা

প্রথমবারের মতো তার ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওটিটি প্লাটফর্মে। সিনেমা হলে মুক্তি না পেয়ে অনলাইনের পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দুর্গামতী’। সিনেমার বিষয়ে ভূমি বলেন, ছোট থেকেই নতুন ছবি এলে আমরা সকলেই সিনেমা হলে গিয়ে তা দেখতে অভ্যস্ত। তাই হল রিলিজ নিশ্চয়ই মিস করছি। তবে গত কয়েক মাসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখায় এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, বাড়ি বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ করি। যখন খুশি দেখা যায়, চাইলে পরেও সুবিধেমতো দেখা যায়। তা ছাড়া আরও বড় ব্যাপার হল কানেক্টিভিটি। ২০০টি দেশে পৌঁছে যাবে ‘দুর্গামতী’, বিভিন্ন ভাষায় সাবটাইটেলসহ। সেটা কি কম বড় কথা?

তার কথায়, ‘দুর্গামতী’র চিত্রনাট্যে প্রথম যে বিষয়টা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল, তা হল এর জঁর। হরর কিংবা থ্রিলারে আগে কখনও কাজ করিনি আমি। বরাবরই স্লাইস অব লাইফ, ফিল গুড, সামাজিক বার্তাবাহী ছবি করে এসেছি। এ বারের অভিজ্ঞতাটা তাই একেবারেই আলাদা। আর কোনও ছবির মুখ্য নারী চরিত্রকে এত বড় ক্যানভাসে কমই ভাবা হয় এখনও। যেগুলো সাধারণত নায়কদের করতে দেখি, সেগুলো এ ছবিতে করার সুযোগ পেয়েছি আমি। কম ছবিই আসে, যেখানে পারফর্ম করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর এই প্রথম একটা গোটা ছবির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমায়, তাতে খুব সম্মানিত বোধ করেছি। সব অভিনেতাই সেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন, যেখানে তার একার উপরে অনেকটা ভরসা করতে পারবেন নির্মাতারা।

আরও পড়ুন : বুমেরাং-এ সমালোচিত অর্ষার ‘সাহস’

অবসরে বাগান করতে পছন্দ ভূমির। সেকথা জানিয়ে তিনি বলেন, গার্ডেনিং ইজ থেরাপিউটিক। মুম্বাইয়ে বৃষ্টি খুব বেশি হয়, তাই সেটা ঠিকমতো কাজে লাগিয়ে আমাদের কিচেন গার্ডেনকে সবুজে ভরিয়ে তুলেছি। পালং, ধনে, লঙ্কা, স্ট্রবেরি সবই ফলিয়েছি এবার। গত শীতে করলা, বেগুন, চেরি টম্যাটো হয়েছিল। তবে এর কৃতিত্ব প্রায় পুরোটাই আমার মায়ের। গাছগুলোকে নিজের সন্তানের মতো ভালবাসে মা। বাগান করায় মায়ের অবদান ৬০ শতাংশ হলে আমার ৩০ শতাংশ। আর ১০ শতাংশ বোনের!

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য