প্রয়াত প্রখ্যাত গবেষক সুধীর চক্রবর্তী
আজ, ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সুধীর চক্রবর্তী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬। শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গায়ক, সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ, এ সমস্ত পরিচয়ের থেকেও তাঁর সবথেকে বড় পরিচিতি বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর অনুসন্ধান এবং লেখনি।
বাউল, ফকির, দরবেশদের সান্নিধ্যে বাংলার মাঠেঘাটে, হাটে, মেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন জীবনভর। তাঁদের নিয়ে অনবদ্য গদ্যে বই লিখেছেন। এর মধ্যে সবার আগে আসে ‘গভীর নির্জন পথে’ বইটির নাম।
১৯৩৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর হাওড়ার শিবপুরে জন্মেছিলেন সুধীর চক্রবর্তী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি বোমাবর্ষণের ভয়ে নদিয়া জেলার দিগনগরে চলে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পর বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বাঘের মতো দাঁড়িয়ে বিজেপি, পুরো ভোটে লড়তে হবে: দিলীপ
অবসর নেওয়ার পরেও ২০১১ সাল পর্যন্ত শিক্ষাদানের কাজ করেছেন। কৃষ্ণনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট লেকচারার হিসেবে কাজ করেছেন। গান, শিল্পকলা, লোকায়ত ধর্ম সম্পর্কে ৮৫টি বই লিখেছেন সুধীরবাবু।
তাঁর ‘বাউল ফকির কথা’ বইটির জন্য ২০০২ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ২০০৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাঁকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
তাঁর সেরা বইগুলির মধ্যে রয়েছে গভীর নির্জন পথে, সদর মফস্সল, বাংলার ফিল্মের গান ও সত্যজিত্ রায়, লালন, নির্জন স্থানে, নির্বাস প্রভৃতি।
সুত্র: আজকাল.in