রাজ্য

শয্যা না থাকার অজুহাতে রোগী ফেরাল একের পর এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

অভিষেক চক্রবর্তী

শয্যা না থাকার অজুহাতে রোগী ফেরাল একের পর এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল - West Bengal News 24

রেফার যন্ত্রণায় নাজেহাল সঙ্কটাপন্ন রোগী। শয্যা না থাকার অজুহাতে রোগী ফেরাল একের পর এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।

মেদিনীপুর থেকে কলকাতার পিজি, পিজি থেকে এনআরএস। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও রোগীকে ভর্তি না করতে পেরে অবশেষে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলো মেদিনীপুরেই। মুখে কুলুপ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।শনিবার বিকেলে পিকনিক সেরে ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় মেদিনীপুর শহরের কোতবাজার এলাকার রাহুল মল্লিক (২৭)।

মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখেই রোগীকে তড়িঘড়ি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকেরা। সেইমতো রাতেই সংকটজনক রোগীকে নিয়ে পরিজনেরা প্রথমে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে।

আরও পড়ুন : ইতিহাসের পাতায় ক্যানিংশহর পৌরসভা থাকলেও বর্তমানে সেটি পঞ্চায়েত

রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ দুর্ব্যবহার করে তাদের ফিরিয়ে দেয়। এর পরেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কার্যত হতাশ হয়েই ফিরতে হয় রোগী ও রোগীর পরিজনদের। এরপর রাতে রোগীকে মেদিনীপুরে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রেফার যন্ত্রণা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। শনিবার রাতের ঘটনা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যখন এত আশার আলো দেখাচ্ছেন তখন বাস্তব পরিস্থিতি গেছে কার্যত শিউরে ওঠেন রোগীর পরিজনেরা।

স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন রোগীর পরিজন। ঘটনার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মেলেনি কোনও উত্তর। ঘটনা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য