ক্লাসের মধ্যেই সহপাঠীকে তিনটে গুলি মেরে খুন, গ্রেফতার দশম শ্রেণির পড়ুয়া
ক্লাসের মধ্যে বসার সিট নিয়ে বচসা লেগেছিল দুই ছাত্রের মধ্যে। কিন্তু সেই বচসার পরিণতি যে এরকম হবে তা ভাবতে পারেননি কেউ।
বচসার পরদিন ক্লাসের মধ্যেই একজন অপরজনকে পরপর তিনটে গুলি করে বলে খবর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই কিশোরের। এই ঘটনার পরে গুলি চালানো কিশোরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের একটি স্কুলে। দুই ছাত্রই দশম শ্রেণির পড়ুয়া। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের দু’জনেরই বয়স ১৪ বছর। গত বুধবার ক্লাসের মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে বচসা হয় দু’জনের মধ্যে।
তাতে একজন এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল যে পরের দিন নিজের সঙ্গে ব্যাগে করে বন্দুক নিয়ে আসে সে। তারপর ক্লাসের মধ্যেই ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে অপরজনকে গুলি করে সে। বন্দুকটি তার কাকার বলে জানা গিয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার সন্তোষ কুমার সিং জানিয়েছেন, ‘বুধবার বসার জায়গা নিয়ে ক্লাসে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। একজন বাড়ি গিয়ে কাকার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক চুরি করে। তার কাকা সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এই মুহূর্তে ছুটিতে বাড়িতে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে ভারতে সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ
পরের দিন ক্লাসে গিয়ে অন্যজনকে গুলি করে অভিযুক্ত। তার পরেই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার প্রথম দুটি ক্লাসের পরে বেলা ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। তিনবার গুলি চালায় অভিযুক্ত। অন্যজনের মাথা, বুক ও পেটে গুলি লাগে।
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গুলি করার পরে অভিযুক্ত কিশোর পালানোর চেষ্টা করে। দোতলা থেকে স্কুলের একতলায় নেমে শূন্যে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে সে। কিন্তু উঁচু শ্রেণির কিছু পড়ুয়া তাকে ধরে ফেলে। তার হাত থকে বন্দুক কেড়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু তখনও নিজেকে ছাড়ানোর জন্য সে সবার সঙ্গে লড়াই করছিল বলে খবর। তারপরেই স্কুলের শিক্ষকরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে কিশোরকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে ওই কিশোরের ব্যাগ থেকে একটা দেশি পিস্তলও উদ্ধার হয়েছে।
এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে সহপাঠীকে মারার জন্য সব পরিকল্পনা করে এসেছিল সে। কিন্তু এক দেশি পিস্তল সে কোথায় পেল, বা তার সঙ্গে কোনও দুষ্কৃতী দলের যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিশোরের কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
সুত্র: দ্য ওয়াল