সরকারের নতুন স্কিমে প্রতি মাসে মিলবে ৯২৫০ টাকা, জানুন কীভাবে?
করোনার সঙ্কটের কারণে, ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের পেনশন প্রকল্পগুলিতে সমস্ত ধরণের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার হ্রাস করা হয়েছে। যার জেরে বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন প্রবীণ নাগরিকেরা। কারণ পেনশন তাঁদের নিয়মিত আয়ের উত্স। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ভায়া বন্দনা যোজনা একটি আকর্ষণীয় বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে।
এই যোজনাতে যে কোনও ফিক্সড ডিপোজিট বা পেনশন প্রকল্পের থেকে বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। যদিও করোনার প্রভাব পড়েছে এই স্কিমের ওপরেও। এই স্কিমেও সুদের হার হ্রাস পেয়েছে। সুদের হার ৮ % থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৭.৪ শতাংশে। যদিও বার্ষিক পেনশনের ক্ষেত্রে সুদের হার হয়েছে ৭.৬৬ শতাংশ।
প্রবীণদের পেনশনের জন্য এই যোজনায় একচেটিয়া বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতি বছর ১ এপ্রিল, সরকার এই স্কিমটির রিটার্ন পর্যালোচনা করে এবং পরিবর্তন করে। পেনশন মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন : এক বিটকয়েনের দাম ৩০ হাজার ডলার, পৌঁছাতে পারে লাখ ডলারে
নতুন সংশোধনীর পরে গ্রাহককে মাসিক ১০০০ টাকা পেনশনের জন্য সর্বনিম্ন ১.৬২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ত্রৈমাসিক পেনশনের জন্য ১.৬১ লক্ষ টাকা, আধা বছরের জন্য ১.৫৯ লাখ , বার্ষিক পেনশনের জন্য সর্বনিম্ন ১.৫৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভায়া বন্দনা যোজনাতে সর্বাধিক মাসিক পেনশন হতে পারে ৯২৫০ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় যে কোনও বিনিয়োগকারী সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন।
আপনি যদি ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে ২০৩১ সালের মধ্যে ৭.৪ শতাংশ হারে রিটার্ন পাবেন। যদি পলিসির মেয়াদ ১০ বছরের পরেও বিনিয়োগকারী বেঁচে থাকে তবে পেনশনের শেষ কিস্তিতে বিনিয়োগকৃত অর্থ তিনি ফিরে পাবেন। অন্যদিকে, যদি কোনও বিনিয়োগকারী পলিসির সময়কালে মারা যায়, তবে তার নমিনি পুরো বিনিয়োগ ফেরত পাবেন।
কেন এই যোজনা?
এর আওতায় প্রবীণদের পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি এলআইসির আওতায় রাখা হয়েছে। পেনশন স্কিম হওয়ার কারণে, ৬০ বছর বয়সের পরে এর সুবিধা নেওয়া যায়।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭