জীবন যাত্রা

এই ৭ গুণ দেখলে জানবেন এই মেয়ে আপনার পারফেক্ট পার্টনার

এই ৭ গুণ দেখলে জানবেন এই মেয়ে আপনার পারফেক্ট পার্টনার - West Bengal News 24

সম্পর্কে জড়ানোর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাদের জন্য মানানসই তো? উত্তর সরাসরি জানা উপায় নেই। সময়ই শেষ পর্যন্ত তা জানিয়ে দেয়। অনেক সময় কয়েক বছর এক সঙ্গে কাটানোর পরেও বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তা হলে বুঝবেন কী করে যে আপনি যাঁর সঙ্গে ঘর করছেন বা সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তিনি আপনার জন্য পারফেক্ট? জানার জন্য একটু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আর মিলিয়ে নিতে হবে এই ৭ সংকেত। যদি এগুলো সহজে দেখতে পান, তা হলে জানবেন আপনার জীবন সঙ্গিনী বা প্রেমিকা একেবারে পারফেক্ট। দেখে নিন কী সেই ৭ সংকেত:

১) একে অপরের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারবেন:
মনোবিদরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ সুখী দম্পতিরা বলেন তাঁদের মধ্যে একটা নিবিড় যোগ অনুভব করেন। সম্পর্কের একেবারে শুরু থেকেই। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যদি কারও প্রতি আপনি টান অনুভব না করেন তবে তাঁকে ভালোবাসা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র শারীরিক টান নয়, মনের টানই কিন্তু আসল। নারীদের ক্ষেত্রে বিচার করে দেখা গিয়েছে, বাহ্যিক সৌন্দর্য তাঁদের কাছে ততটা বিচার্য হয় না।

২) এক রকম ভাবনাই আসবে:
অনেক সময় আপনি যা ভাবছেন তা বলার আগে আপনার সঙ্গিনী বলে ফেলবেন। বা আপনি যা ভাববেন তা হঠাত্‍ করে আপনার সামনে এনে হাজির করবেন। এটা মনে মিল থাকলেই সম্ভব। তার মানে এটা নয় যে আপনাদের মতের অমিল হবে না। মতের অমিল হওয়া এবং তা নিয়ে আলোচনা করা সুস্থ সম্পর্কের চিহ্ন।

৩) প্রেম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে:
সম্পর্কের শুরুতে যে স্পার্ক থাকে, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারাতে থাকে। সাধারণত বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনটাই শোনা যায়। তবে সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে হয় ঠিক এর উল্টোটা। পুরনো চাল ভাতে বাড়ার মতো। প্রত্যেকের মধ্যেই কোনও না কোনও ঘাটতি থাকে, তা শুধুমাত্র মেনে নিয়েই নয়, তাকে সানন্দে গ্রহণ করে এগিয়ে যাবেন আপনার সঙ্গিনী।

৪) এক সঙ্গে হাসিঠাট্টা:
ছোটখাটো কারণ হোক বা চূড়ান্ত মজাদার কোনও ঘটনা, হাসার কোনও সুযোগ আপনারা হাতছাড়া করেন না। বাড়ির বৈঠকখানায় হোক বা কোনও পার্কে বা দক্ষিণ ফ্রান্সের সৌন্দর্যের মধ্যে দাড়িয়ে আপনারা একই রকম থাকেন। সঙ্গিনীর সামনে মনের কোনও কথা বলতে দ্বিধা করেন না। যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ আপনি। এমনটা হলে বুঝবেন ইনি আপনার আদর্শ সঙ্গিনী।

৫) ‘তোমাকে চাই’:
সাকলের চায়ের কাপ থেকেরাতে শোয়ার বালিশ — সবেতেই ‘তাঁকে’ চাইবেন। অনেক সময় বন্ধুদের কাছে শুনবেন যে তাঁরা একলা কী সুখেই না রয়েছেন। বিবাহিতদের মত, ইচ্ছে করে অফিস থেকে দেরি করে বাড়ি ফেরা। এ সব শুনেও আপনি কিন্তু সঙ্গিনীকেই চাইছেন। খুব কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে যতটা স্বাচ্ছ্ন্দ্য অনুভব করেন, সঙ্গিনীর সঙ্গেও তাই। তা হলে দেরি করবেন না তাঁকে বলতে।

৬) একে অপরকে SEXY মনে করেন:
সাধারণ অফিস পোশাকে থাকুন বা স্যুটেড বুটেড। তেমনই আপনার সঙ্গিনী শাড়ি পড়ুন বা গাউন, সব সময় তাঁকে দেখে আকর্ষণ অনুভব করেন। এটা অন্যতম একটা সংকেত। একটা কথা মনে রাখতে হবে, প্রেম কখনও শরীর ছাড়া হয় না। আপনার অস্তিত্ব যদি আপনার শরীর ছাড়া না হয় তবে প্রেমের ক্ষেত্রে তা হবে কী করে!

৭) আপনার সবচেয়ে বড় সমর্থক:
আপনি যাই করুন, সব সময় আপনাকে উত্সা্হ দেবেন সঠিক পার্টনার। যত কঠিন সময় হোক, আপনার পাশ থেকে কখনও সরে যাবেন না তিনি। শত কঠিন পরিস্থিতিতে একে অপরকে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতাই সম্পর্ককে স্থায়ীত্ব দেয়। এক সঙ্গে চাকরি করা বা ব্যস্ততায় যেমন মানিয়ে নেবেন, তেমন ঘরকন্যার কাজেও সঙ্গে থাকবেন। এই গুণ গুলো অবশ্যই নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে প্রয়োজন। যদি এমনটা হয় তবে তিনিই আপনার আদর্শ সঙ্গী বা সঙ্গিনী।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য