৫৯ বছরের বিজ্ঞানীকে ধর্ষণ করে খুন করল যুবক
তিনি রাস্তা দিয়ে ছুটছিলেন। যৌন নিগ্রহের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ছুটছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে থামাতে গাড়ি নিয়ে তাঁকে ২ বার ধাক্কা মারে ওই যুবক। তারপর গাড়ি থেকে নেমে দেখে অজ্ঞান হয়ে গেছেন ওই প্রৌঢ়া। তাঁকে তখন তুলে গাড়ির ডিকিতে ফেলে সেখান থেকে ওই যুবক পৌঁছে যায় শহরের এমন এক জায়গায় যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বাঙ্কার এখনও রয়েছে। জনশূন্য এই জায়গায় ওই বাঙ্কারের মধ্যেই প্রৌঢ়াকে ধর্ষণ করে সে। তারপর তাঁকে খুন করে। যদিও পুলিশের কাছে এটা এখনও পরিস্কার নয় যে ওই যুবক ধর্ষণ করার আগেই গাড়ির ধাক্কায় ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছিল, নাকি ধর্ষণের সময়ও তাঁর শরীরে প্রাণ ছিল?
পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গ্রিসের ক্রেতে শহরে। এখানে একটি সেমিনার উপলক্ষে এসেছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী সুজান ইটন। ৫৯ বছরের ওই প্রৌঢ়া প্রতিদিন আধঘণ্টা ছোটেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে পুলিশ। যখন তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টায় আছে এই যুবক তখন পালানোরও চেষ্টা করেন। ইটনের দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ।
ওই বাঙ্কারের কাছে ২৭ বছরের ওই যুবকের গাড়ির চাকার চিহ্ন দেখে অবশেষে ওই যুবক পর্যন্ত পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে অভিযুক্ত ওই যুবকের বিয়ে হয়ে গেছে। তার ২টি সন্তানও রয়েছে। পুলিশের জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে সে। ইটন জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত ছিলেন। তাঁর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু গোটা বিশ্বেই আলোড়ন ফেলেছে। এক প্রৌঢ়া বিজ্ঞানীর এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। – সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা