আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের মৃত্যুমিছিলের কথা সম্ভবত জানেনই না বন্দি সু চি!

মিয়ানমারের মৃত্যুমিছিলের কথা সম্ভবত জানেনই না বন্দি সু চি! - West Bengal News 24

গত ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মিয়ানমারের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। জান্তার হাতে বন্দি হন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেতা অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট। তারপর থেকে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে গোটা দেশ। ইতোমধ্যেই সেনা সদস্যদের গুলিতে পাঁচশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দেশে এই মৃত্যুমিছিল সম্পর্কে সম্ভবত কিছুই জানেন না বন্দি সু চি! এমনটাই দাবি তার আইনজীবীর।

বৃহস্পতিবার আদালতে এক শুনানির জন্য উপস্থিত করা হয়েছিল সু চি ও উইন মিন্টকে। দেখা গিয়েছে, তাদের স্বাস্থ্যের কোনও অবনতি হয়নি। তাদের আইনজীবী মিন মিন সু জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করেও সু চিকে এই বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি। কেননা তাকে তার মক্কেলদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, শুনানি ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ৪৩ শিশু নিহত

এদিকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে গত শনিবারের পর থেকেই। ওই দিন শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছিল জান্তা। তারপর থেকেই মিয়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জান্তার আচরণের বিরুদ্ধে।

মিয়ানমার সংসদের নির্বাসিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি সেনা-বিরোধী গোষ্ঠীও এই গেরিলা বাহিনীগুলোর সাহায্য নিতে প্রস্তুত। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেরিলা জনজাতিদের গ্রামে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে জান্তা।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে অচিরেই পুরোপুরি গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না দেশটিতে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে চাপ বেড়েছে থাইল্যান্ড সীমান্তে। মিয়ানমার থেকে বড় অংশের সাধারণ জনতা থাইল্যান্ডে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ২,৭৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। এখনও মিয়ানমারের প্রায় ২০০ জন রয়ে গেছে থাইল্যান্ডে। তাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য