রাজনীতিরাজ্য

২রা মের পর কন্ডোমের দোকান দেবেন সায়নী, বিস্ফোরক মন্ত্যব্য অগ্নিমিত্রার!

২রা মের পর কন্ডোমের দোকান দেবেন সায়নী, বিস্ফোরক মন্ত্যব্য অগ্নিমিত্রার! - West Bengal News 24

নির্বাচনের প্রাক্কালে একে অপরকে কেন্দ্র করে আক্রমণ কোন নতুন বিষয় নয়। কারণ প্রথম থেকেই রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্যের জন্য বাকবিতন্ডায় পৌঁছে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিশেষত ভোটের আগে এটি খুব একটি সাধারন ব্যাপার।তবে সেই আক্রমণের মাত্রা যখন শালীনতার সমস্ত রকম সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন হয়তো সত্যিই তা গ্রহণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। ভোটের আগে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিগত কয়েকদিন অনেকের সাথেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে এগিয়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বারংবার নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। সম্প্রতি দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর জনসম্মূখে পা দেখানো নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তারপরেই এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে মা দুর্গার চৌদ্দ পুরুষের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেছিলেন দিলীপ ঘোষ।সেই সময় হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার দরুন একাধিক নেতৃত্ব বর্গ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দিলীপ ঘোষের সমালোচনায় মগ্ন হয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে এই ব্যাপারটা অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শাসকদলের প্রায় অনেক বক্তব্যে দিলীপ ঘোষের বেফাঁস মন্তব্য গুলো উঠে আসে।

আরও পড়ুন : এক পায়ে বাংলা জয় করব, দুই পায়ে দিল্লি : মমতা

সম্প্রতি আবার এক বিজেপি নেত্রী ঠিক একইভাবে বেফাঁস মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন। প্রসঙ্গত এই বিজেপি নেত্রী আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রার্থী তালিকায় তার নাম ঘোষণা হওয়ার পরে জোরকদমে প্রচারকাজ চালাচ্ছেন অগ্নিমিত্রা।কিন্তু গতকাল বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীপক্ষের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে তিনি যেভাবে আক্রমণ করেছেন তা মোটেও কাম্য নয়।প্রসঙ্গত অগ্নিমিত্রা ভোটের ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর সায়নীকে কন্ডোম বিক্রি করার কথা জানান।

ভোটের প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রা পাল তৃণমূল প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,”উনি [ সায়নী ] রাজনীতি জানেন না। কারণ, এতদিন উনি সিনেমা করে এসেছেন। [ ভোটের ] ফল বেরোনের পর হয়ত কন্ডোমের দোকান খুলবেন বা অন্য পেশায় যাবেন বা সিনেমাটাই করবেন। উনি জানেন না, এখানে বিজেপি সাংসদ, বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কাজ করতে দেওয়া হয়।করোনা পর্বে ত্রাণ দিতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়েছে”। অগ্নিমিত্রার এই মন্তব্য সামনে আসার পরই সায়নী নিজের বক্তব্যে সাবলীলতা বজায় রেখে বলেন,” উনি যে কথাগুলি বলছেন, তাঁর মধ্যে দিয়ে বংশপরিচয়, কীভাবে বড় হয়েছেন তা প্রকাশ পাচ্ছে।

উনি আমার থেকে বড় হয়ে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন”।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রটি এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত রয়েছে। তবে চলতি বছরে এই কেন্দ্রে জয়লাভের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস তারকা প্রার্থীর ভরসায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।তবে এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, প্রথম থেকেই এই বিধানসভা আসনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ বিতর্কিত। শাসকদলের বিরুদ্ধে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য ছাড়াও বেশ কয়েক বছর আগে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি শিব ঠাকুর সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করা হয়।

সেই বিতর্কিত ছবিটিতে দেখা গিয়েছিল বুলাদি নামের একটি চরিত্রকে শিব লিঙ্গে কন্ডোম পড়াতে। যার পর থেকেই হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশ্যে সায়নীকে আক্রমণ করা শুরু হয়েছে।যার ফলস্বরুপ আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রথম দিন প্রচারের যাওয়ার পরই বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান অবধি তাকে করতে দেওয়া হয়নি।যদিও পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন,তবে সায়নী সেখান থেকে বেরিয়ে যাবার পরই সমস্ত জায়গা গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা।ব্যক্তিগতভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজের ওই পুরনো পোস্ট সম্বন্ধে সায়নীর দাবি, সেই সময় তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ওই পোস্টটি করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য সামনে আসেনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য