স্বাস্থ্য

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় যে ৭ টি সুঅভ্যাস

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় যে ৭ টি সুঅভ্যাস - West Bengal News 24

সাধারণত মস্তিষ্কের রক্তনালীর দুর্ঘটনা থেকেই স্ট্রোকের সমস্যা হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি স্ট্রোকে মারা যান। কখন কোনসময়ে একজন মানুষের স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে তা বলা যায় না। আসুন এমন কিছু সচেতনতা বা অভ্যাসের কথা জেনে নিই যেগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্যকরী।

১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
হাইপারটেনশন এক ধরনের উচ্চ রক্তচাপ। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্যান্য হার্টের সমস্যা তৈরি করে। এই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আনার অভ্যাসটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। এর জন্য লবণ কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। স্বাভাবিক রক্তচাপ স্ট্রোক হতে দেয় না।

২. হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ :
জন্মের সময়েই একজনের হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা বংশানুক্রমেই ছড়িয়ে থাকে। এই হৃদরোগের ফলেই একজনের হাইপারটেনশন, স্থূলতা. ডায়বেটিস, উচ্চ কোলেস্টরেল ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে। এই হৃদরোগের ফলে করোনারি আর্টারির সমস্যাও, হার্টের ভাল্বের সমস্যা, হার্টের পেশীর সমস্যা, হার্টের বৃদ্ধি পাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। প্রতিনিয়ত মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে হার্টের এই ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

৩. উচ্চ কোলেস্টরেল কমানো :
উচ্চ কোলেস্টরেলের সমস্যা হার্টের বিভিন্ন রোগ তৈরি এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাটের কারণে এই ধরনের কোলেস্টরেলের সমস্যা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ডায়েটের অভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চ কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে এনে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

৪. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ :
ডায়বেটিসের কারণে বিভিন্ন ধরনের হার্টের সমস্যা এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের সৃষ্টি হতে পারে। রক্তে সুগারের আধিক্যে এই ডায়বেটিস হয়ে থাকে। জন্মের সময়েই বা পরবর্তীতেও এই রোগটি একজনের হতে পারে। বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম, খাদ্যের বাছবিচার, ইনসুলিন ট্রিটমেন্ট ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যা একজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে আনে।

৫. স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ :
স্থূলতাও একজন ব্যক্তির স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এটির ফলে হাইপারটেনশন এবং কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই স্থূলতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

৬, ধূমপান ত্যাগ :
ধূমপানের ফলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং হাইপারটেনশন হয়ে থাকে। এর ফলে স্ট্রেকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ফলে ধূমপান ত্যাগের অভ্যাসটি স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।

৭. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ :
মানসিক চাপ একজন ব্যক্তির হার্টের সমস্যা, হাইপারটেনশন বাড়িয়ে দিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে। বিভিন্ন মাধ্যমে এই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য