করোনা সন্দেহে ১০ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে রইল বৃদ্ধের মৃতদেহ
করোনা সন্দেহে বৃদ্ধের মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে রইল ১০ ঘন্টা। পুলিশ, প্রশাসন বা পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও বৃদ্ধের দেহ সরকারের উদ্যোগ নেয়নি কেউই। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার শিবালয় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম তপন চক্রবর্তী (৭৫)। গত চার পাঁচ দিন ধরে তিনি জ্বর ও সর্দিকাশিতে ভুগছিলেন। বাড়ির লোকেরা তাঁকে জ্বরের ওষুধ খাওয়ান। তিনি খানিকটা সেরেও উঠেছিলেন।
শুক্রবার সকালে ওই বৃদ্ধের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন বাড়ির লোকেরা বাড়িতেই তাঁর অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিছুক্ষণ পরেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে রোগীর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকায় অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। বাড়ির লোকেরা দেহ সত্কার করবেন কিনা সে ব্যাপারে পুলিশ, প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কেউই সদর্থক কোনও পদক্ষেপ করেনি। বাড়ির লোকেরাও সাহস করে দেহ সত্কার করতে পারছেন না। ফলে মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে রইল ১০ ঘন্টা।
মৃত তপনবাবুর মেয়ে টিংকু সাহা বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন আগে বাবার জ্বর হয়েছিল। সেটা করোনা কিনা আমরা জানি না। জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর পর বাবা সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। আগে থেকেই বাবার শ্বাসকষ্টের উপসর্গ আছে। শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তারপর বাবাকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই বাবার মৃত্যু হয়। করোনায় বাবার মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত না হয়ে আমরা দেহ সরকার করতে পারছি না। পুলিশ, প্রশাসন বা পঞ্চায়েতের কাছ থেকেও আমরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছি না।’
সুত্র : প্রথম কলকাতা