কলকাতা

বাঁদরের বাঁদরামি ঝাড়গ্রামের হাসপাতালে

স্বপ্নীল মজুমদার

বাঁদরের বাঁদরামি ঝাড়গ্রামের হাসপাতালে - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: বাঁদরের বাঁদরামি আর বলে কেন! গ্রামীণ হাসপাতালে হঠাৎ ঢুকে পড়ল এক বিচ্ছু বাঁদর। তারপর লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে সন্ত্রস্ত করে তুলল হাসপাতালে রোগী আর কর্মীদের। এতেও সে ক্ষান্ত হয়নি। এক রোগীর আত্মীয়াকেও কামড়ে দিয়েছে। বাঁদরটির কামড় থেকে রেহাই পাননি হাসপাতালের এক নার্সও।

শুক্রবার বিকেলে এমন ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লকের মোহনপুর হাসপাতলে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের ওই গ্রামীণ হাসপাতালে হাতেগোনা কয়েকজন রোগী ভর্তি ছিলেন। চলছিল করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজও। আচমকা বিকেলবেলা এক বাঁদর ঢুকে পরে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে। ঘুরে বেড়াতে থাকে রোগীদের শয্যার আশেপাশে। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন রোগীরা।

এক রোগীর আত্মীয়া সেই সময় যাচ্ছিলেন শয্যার কাছে। বাঁদরটি এক লাফে গিয়ে তার আঙুলে কামড়ে দেয়। ‘বাবাগো মা গো’ বলে চিৎকার করতে থাকেন ওই মহিলা। হুলুস্থূল বেধে যায় গোটা হাসপাতাল জুড়ে। বাঁদরটিকে ধরবার জন্যে হাসপাতালের কর্মীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঝাড়গ্রামের বিএমওএইচ মানিক সিং ফোন করেন বনদফতরে। বনকর্মীরা খাঁচা নিয়ে হাজির হন। কিন্তু বাঁদর বাবাজিকে বাগে আনা মুশকিল। ইতিমধ্যে বাঁদরটি সটান চলে যায় প্রতিষেধক দানের কেন্দ্রে। বাঁদরকে দেখে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন প্রতিষেধক নিতে আসা লোকজন সহ যারা প্রতিষেধক দিচ্ছিলেন তাঁরাও।

এক নার্স তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে বাঁদরটি তার হাঁটুতে কামড়ে দেয়। জখম নার্সকে চিকিৎসা করানো হয়। ইতিমধ্যে বনকর্মীরাও বাঁদরটিকে ধরার জন্যে বহু কসরত করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাসপাতালের দরজার ফাঁক গলে এক ছুটে বাঁদরটি সামনের প্রান্তরে মিলিয়ে যায়।

হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বনকর্মী ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। মোহনপুর গ্রামীণ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঝাড়গ্রামের বিএমওএইচ মানিক সিং বলেন, “বাঁদরের কামড়ে রোগিণীর আত্মীয়ার তেমন কিছু হয়নি। তবে নার্স সামান্য জখম হয়েছেন। দু’জনেরই চিকিৎসা করানো হয়েছে।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য