৫০ শয্যা বিশিষ্ট সেফ হোম তৈরি হচ্ছে বেলুড় শিল্প মন্দিরে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের ফলে সারা দেশ তথা বাংলায় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। উর্দ্ধমুখী সংক্রমণের জেরে ক্রমশ হাসপাতালে বেড বা অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন সারদা পীঠের শিল্পমন্দির পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাসে তৈরি হচ্ছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সেফ হোম। আগামী ১লা জুন থেকে সেফ হোম চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ।
উপসর্গহীন করোনা রোগীদের চিকিত্সকরা হোম আইসলেশনে থাকার পরামর্শ দিলেও বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকার জায়গা নেই, সেই সমস্ত রোগীদের জন্য এই সেফ হোম। বেলুড় মঠ সারাদা পীঠের তরফে জানানো হয়েছে, এই সেফ হোমে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকবে। মঠ কর্তৃপক্ষ জানান, বাড়িতে অনেকেই সঠিক সময়ে অক্সিজেন পান না। এই সেফ হোমে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিংবা অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ব্যবস্থা থাকছে। রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে তা নিয়ে ভাবতে হবে না। ২৪ ঘন্টার জন্যই সেফ হোমে দু’জন চিকিত্সক থাকবেন। একই সঙ্গে সেফ হোমে থাকা রোগীদের দেখাশোনার জন্য থাকবেন আরও ৬ থেকে ৮ জন চিকিত্সক।
মঠ সূত্রে খবর, হাওড়া জেলা হাসপাতালের মতো সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের নামী চিকিত্সকরাও রোগীদের পর্যবেক্ষনে আসবেন সেফ হোমে। রোগীদের সেবায় থাকবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নিজস্ব চিকিত্সক ও নার্সরাও। সেফ হোমে থাকাকালীন যদি কোনও রোগী হঠাত্ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের দ্রুত স্থানীয় কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও থাকছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র থেকে খাওয়া-দাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা করবে মঠ কর্তৃপক্ষ।
বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ বলেন, “বেলুড় মঠের উদ্যোগে সারদা পীঠ এই সেফ হোম তৈরি করছে। বেলুড় মঠের রিলিফ ফান্ড থেকেই এই সেফ হোম গড়ে তোলার কাজ চলছে। আগামী ১লা জুন থেকে এই সেফ হোম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”
সুত্র : এই মুহুর্তে