জানা-অজানা

ধূমপান ছাড়া সম্পর্কে ৭ টি মিথ যা একেবারেই সত্য না

ধূমপান ছাড়া সম্পর্কে ৭ টি মিথ যা একেবারেই সত্য না - West Bengal News 24

আপনি হয়ত ধূমপান ছাড়ার কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানেন, কিন্তু জানেন কি ধূমপান ছাড়ার এমন কয়েকটি মিথ সম্পর্কে যেগুলো আসলেও সত্যি নয়। আসুন জেনে নিই এমনই কয়েকটি মিথ সম্পর্কে।

ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সহায়ক :
সানফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে যে ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখে না। ৮২ টি গবেষণা পূর্বালোচনা করে দেখা যায় যে যারা ইলেকট্রনিক সিগারেট ব্যবহার করেন তারা ধূমপানের আসক্তি থেকে অনেকাংশে মুক্তি পেয়ে থাকেন। আসলেও কি এই মিথটি সত্যি? গবেষণায় স্পষ্টতই উঠে এসেছে যে ই-সিগারেট ধূমপানের আসক্তি কোনোভাবেই কমাতে সহায়ক না।

ওজন বৃদ্ধি পায় :
সবাই বলে থাকেন ধূমপান ছাড়লে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। কেননা এই ধূমপানের ফলে শরীরে নিকোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায় যেটি স্বাস্থ্যগত ক্ষতি করে শরীরকে ফিট রাখে। কিন্তু হঠাৎ ধূমপান ছাড়লে স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু এই ধারণাটিও একবারেই সত্য না। কেননা যার ওজন বাড়ার প্রবণতা রয়েছে তার ধূমপান করার পরও ওজন বাড়তে পারে। ওজন বাড়ার সাথে ধূমপানের কোনো যোগাযোগ নেই।

ধূমপান ছাড়া ব্যয়বহুল :
অনেকে মনে করেন ধূমপান করা যেমন ব্যয়বহুল একটি কাজ, ধূমপান ছাড়াটাও একটি ব্যয়বহুল কাজ। কিন্তু এই কথাটি সত্য নয়। কারণ হতে পারে ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা মূল্য, আসক্তিনাশক ওষুধ বা আসক্তিনাশক বিভিন্ন খাবারে অনেক অর্থ ব্যয় হয়ে যায় কিন্তু তা অন্তত ধূমপান করার চেয়ে অনেক বেশি কম।

সিগারেটের চেয়ে হুক্কা স্বাস্থ্যকর :
অনেকেই মনে করে থাকেন ধূমপানের চেয়ে হুক্কা খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই ধারণাটি এক নিমেষে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে যখন আপনি গবেষণায় উঠে আসা আসল তথ্য সম্পর্কে জানবেন। সেন্টর ফর ডিজিজ কনট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয় সাধারণ সিগারেটের তুলনায় হুক্কা সিগারেটে অনেক বেশি পরিমাণে তামাক থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এছাড়া সানফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে আসে যে, মাত্র এক রাতের হুক্কা সিগারেটের অভ্যাস আপনার শরীরে ক্যান্সার এর আবির্ভাব ঘটাতে সক্ষম।

ধূমপান ছাড়ার ফলে মানসিক অস্থিরতা বেড়ে যায় :
যদিও মানসিক চাপ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই অনেকে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। গবেষণায় দেখা গেছে যে ধূমপায়ীর চেয়ে অধূমপায়ী ব্যক্তিরা মানসিক বিভিন্ন চাপে ভুগে থাকেন। স্টিনবার্গ বলেন, যখন ধূমপায়ীরা এই পদ্ধতিতে মানসিক চাপ নিরসনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তখন এটি ছাড়ার পরে তারা এক অসহ্যকর অবস্থায় পড়েন। কিন্তু আসল বিষয়টি হল যেহেতু সিগারেট নিকোটিনের তৈরি তাই এতে মানসিক চাপ নিরসনের কোনো উপাদানই বর্তমান নেই। তাই ধূমপান ছাড়ার ফলে যে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয় তা আসলে এক ধরনের আসক্তি ছাড়া আর কিছুই না।

সৃজনশীলতা হারিয়ে যায় :
অনেকে বলে থাকেন ধূমপানের ফলে সৃজনশীল কাজের ক্ষমতা বেড়ে যায়, নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবনের ক্ষমতা পাওয়া যায়। ধূমপান ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথে এই সৃজনশীল ক্ষমতাটি হারিয়ে যায়। এই ধরনের মিথটি একেবারেই মত্য না। কেননা সৃজনশীলতা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির একটি অংশ যা স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মাঝে থাকে। এর সাথে ধূমপানের বিষয়টি কোনোভাবেই জড়িত নয়।

বন্ধু হারিয়ে যায় :
সিগারেট খাওয়ার সাথে বন্ধু বাড়ার সম্পর্কটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমন ধারণা তরুণদের মাঝে রয়েছে। তারা ভাবেন যে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে বন্ধুদের সংখ্যা কমে যায়। কিন্তু এই ধারণাটি প্ররোপুরি সত্য না। ধূমপান ছেড়ে দিলে হয়ত কিছু ধূমপায়ী বন্ধুদের সাথে দূরত্ব বাড়ে কিন্তু ভালো বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব বাড়তেও পারে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য