ভর্তির ৩৭ ঘন্টার মাথাতেই মৃত্যু, বিল ১২ লক্ষ
মাত্র ৩৬ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের লড়াই। প্রায় মরণাপন্ন কোভিড রোগীকে বাঁচাতে পারেনি হাসপাতাল। অথচ তারই মধ্যে বিল গিয়ে ঠেকল ১১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৬০ টাকায়। একে তো স্বজন হারিয়ে শোকে কাতর, তার ওপর এই বিপুল বিল মেটানোর মানসিক চাপ। দিশেহারা অবস্থা নবজীবন কলোনির দত্ত পরিবারের।
প্রথমে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বছর ৫৭-র অসীম দত্ত। গত ১৪ মে অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়ির লোককে জানায়, রোগীর একমো সাপোর্ট প্রয়োজন। অনেক চেষ্টার পর আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের একটাই একমো রয়েছে। তার জন্য বেশি খরচও পড়বে। তাতে রাজিও হয়ে যায় রোগীর পরিবার।
জানানো হয়, ২১ দিনের জন্য ৪১ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। সেইমতো প্রথমেই ৩ লক্ষ টাকা জমা করেছিল পরিবার। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মৃত্যু হয় রোগীর। মৃতদেহ আনতে গেলে পরিবারের সদস্যদের হাতে ধরানো হয় প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিল।
মৃতের ভাই জানান, হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল একমো সাপোর্টের খরচ প্রতিদিন ১ লক্ষেরও বেশি কিছু। সেইমতো কিছু টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু দেহ আনতে গিয়ে দেখা গেল উল্টোটাই। এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে মেশিন ইনস্টলেশন করতেই খরচ হয়ে যায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। তারপর রয়েছে আরও বিভিন্ন খরচ।
শুরুতেই কয়েকদিন খরচটা অনেক বেশি থাকে। পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এটা মানুষের জানার দরকার। তবে বিল খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাতে কতটুকু লাভ হবে তা নিয়ে সর্বস্বান্ত দত্ত পরিবার।
সূত্র : এই মুহুর্তে