সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ এফআইআর হিসাবে গৃহীত গড়িয়াহাট থানায়
নারদ কাণ্ডে সরকারের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী পথে নেমে পড়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সিবিআই অফিসে গিয়ে ধর্ণায় বসেন, তখন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লাল বাজারে গিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।
চন্দ্রিমার সেই অভিযোগকেই এফআইআরে রূপান্তরিত করা হল। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল গড়িয়াহাট থানায়। ফৌজদারি আইনের ১৬৬, ১৬৬এ, ১৮৮, ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ (বি) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে।
সিবিআই যে রিট পিটিশন কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল করেছে তাতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি সিবিআই দফতরে গিয়ে অফিসারদের সম্পর্কে অসম্মানজনক ও অবমাননাকর মন্তব্যও করতে থাকেন। নিজাম প্যালেসের সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ধারায় মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিবিআইয়ের সেই বক্তব্য এবং তৃণমূলের মামলার প্রতিপাদ্য মিলে যাচ্ছে। কারণ, সত্যিই বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ হল, যে ভাবে চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা বেআইনি। তা ছাড়া রাজ্যে যখন লকডাউন চলছে, তখন একসঙ্গে অনেক লোক জড়ো করে এই সব করা হয়েছে। যা মহামারী পরিস্থিতিতে ঠিক নয়।
সূত্র : দ্য ওয়াল