নদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয়ের মাঝেই বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি
যশ আছড়ে পড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে কয়েকটি গ্রাম। এই পরিস্থিতিতেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে গুলির লড়াই। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক বোমবাজিও। বন্দুক ও বোমাবাজির ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নদীয়ায়।
ঘটনাটি নদিয়া র নাকাশিপাড়ার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ ছিল ক্ষমতা প্রদর্শন নিয়ে। পূর্বেও বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফের অশান্তির সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার সকালে। এলাকারই একটি মাঠে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। সেই অশান্তি থেকেই ঘটনা বোমাবাজি পর্যন্ত পৌঁছয়।
কিছুক্ষনের জন্য বচসা থেমে গেলেও ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা হাট থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময়ই কয়েক জন যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সেই সঙ্গে এলাকাতে ব্যাপক বোমাবাজিও হয়। শুধু তাই হয় বাড়ি ঢুকেও কয়েকজনকে মারধর করা হয়।
এই ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে একজন তৃণমূল কর্মী। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী ঘরেতেই ছিলেন কিন্তু আচমকাই জনা কয়েক যুবক ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করে। আক্রান্তদের প্রথমে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের অভিযোগ অভিযুক্তরা বেশিরভাগই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পৌঁছয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিজেপি গুলি-বোমা নিয়ে রাজনীতি করে না। এটা তৃণমূলের লোকেদের পুরনো ঝামেলা।” অন্যদিকে, নাকাশিপাড়া তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করেই সমস্যা শুরু। এটা একটা গ্রাম্য বিবাদ। পুলিশ তদন্ত করছে। তবে কী এমন ঘটল, যে গোলাগুলি চলল তা খতিয়ে দেখছি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দাবি বাজে কথা। এরকম কিছুই নয়। আসল কারণ জানতে খোঁজ খবর চলছে।”
সূত্র : এই মুহুর্তে