আবারও গুলি চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়া (Bhatpara)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বিধানসভা ভোট মিটে গিয়েছে এক মাস হয়ে গেল। এখনও পর্যন্ত গুলি-বোমার লড়াই বন্ধ হয়নি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ভাটপাড়ায়। আজ শুক্রবার সকালে আবারও গুলি চলল ভাটপাড়ার এক বিজেপি (BJP) নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে।
জানা গিয়েছে, বিজেপির অল ইন্ডিয়া মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সহ-সভাপতি লালবাবু প্রসাদের বাড়িতে আজ হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই বিজেপি নেতার দাবি, একদল দুষ্কৃতী তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জানালার মধ্যে দিয়ে সেই গুলি ঘরের ভিতরে ঢুকে টিভিতে লাগে। ভাটপাড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতা জানান, পর পর তিন রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘরের ভিতর টিভিতে, দেওয়ালেও গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানান ওই বিজেপি নেতা।
তাঁর অভিযোগ, টাটা সুমো করে এক দল দুষ্কৃতী এসে জানালা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অল্পের জন্য রেহাই পান অল্পের ওই বিজেপি নেতা ও তার পরিবার। শুধু ওই নেতার বাড়ি নয়, তাঁর বাড়ির কাছে এক নার্সিং হোমেও লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি লাল বাবু প্রসাদের পরিবার।
এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপির দলীয় কোন্দলের জন্য এই ঘটনা ঘটছে। আর নিজেদের সেই দোষ আড়াল করার জন্য তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তারা। জানা যায়, আজ এই ঘটনার পরই ওই বিজেপি নেতার বাড়ি যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সেখানে তিনি জানান, পুলিশ নিষ্ক্রিয়।
তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি দাবি করছেন পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন ফেরাতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, তাই নেওয়া হোক। এই এলাকার বাড়িতে বাড়িতে লুঠপাট চালাচ্ছে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও বিজেপি সাংসদের তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জগদ্দল থানার পুলিশ।
তবে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বারবার অশান্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া সহ সমগ্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। এবার বিধানসভা নির্বাচনের পরও এখনও পর্যন্ত গুলি-বোমার লড়াই বন্ধ হয়নি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ভাটপাড়ায়। ”
সুত্র : প্রথম কলকাতা