বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বহু নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক। কিন্তু ভোট মিটতেই মোহভঙ্গ। সোনালী গুহ থেকে দীপেন্দু বিশ্বাস, ইতিমধ্যে পুরোনো দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন অনেকেই। এখন প্রশ্ন হল, ‘দলবদলু’দের ভবিষ্যৎ কী? তাঁদের কি ফিরিয়ে নেওয়া হবে? তৃণমূল সূত্রে খবর, এখনই সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর আজই প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকে বসছে শাসকদল। দুপুর ২টোয় ১৮ জনকে নিয়ে প্রথমে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। এরপর দুপুর ৩টে থেকে শুরু হবে সাংগঠনিক বৈঠক। যেখানে উপস্থিত থাকবেন দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিরা তৃণমূল সূত্রে খবর, আজকের বৈঠকেই ‘দলবদলু’দের নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শাসকদলের একটা অংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ‘দলবদলু’রা কেবল দলই ছাড়েননি, বরং দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিষোদগার করেছেন। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দলের ক্ষতি করার সমস্ত রকম চেষ্টা করেছেন। এখন দলের সুসময়ে তাঁদের ফিরিয়ে নিলে, যে কর্মীরা অসময়ে দলের জন্য জীবন বাজি রেখে লড়েছেন, তাঁদের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই ‘দলবদলু’দের এখনই দলে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
বরং আরও কিছুদিন তাঁদের অপেক্ষায় রাখা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে সাংসদ সৌগত রায় দিন কয়েক আগেই সাফ জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মাস ‘দলবদলু’দের ফেরানো উচিত নয়। সূত্রের খবর, আজকের সাংগঠনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই শিলমোহর পড়তে পারে।
পাশাপাশি, আজকের বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব বাড়ানো হতে পারে। যুব তৃণমূল থেকে তাঁকে মাদার তৃণমূলে আনা হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’-এর দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে যুব সভাপতিকে। একই সঙ্গে আজ তৃণমূলে বড় সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনাও রয়েছে। শুরু হতে পারে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি।
অর্থাৎ যে সমস্ত মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তরুণ প্রজন্মকে সংগঠনের দায়িত্বে তুলে আনা হতে পারে। সামনেই পুরসভা ভোট। তারপর পঞ্চায়েত ভোট। সেই লক্ষ্যে, আজকের বৈঠক থেকেই দলের বুথ স্তরের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিতে পারেন দলনেত্রী।
সুত্র : ২৪ ঘন্টা