তৃণমূলে ফেরার জল্পনা উষ্কে যা বললেন শুভ্রাংশু
রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে চর্চা রীতিমতো বেড়েই চলেছে। শুভ্রাংশুর কথায় বারবার উঠে আসছে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং যুব সভাপতি অভিষেকের প্রশংসা। শুভ্রাংশু বলেন,’মমতা ব্যানার্জি যেভাবে আমার বাবা-মায়ের শরীর কেমন আছে খোঁজ নেন এবং যেভাবে ইয়াসের সময় মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন তাতে মমতা ব্যানার্জিকে আমি স্যালুট জানাই। আর অভিষেক তো আমার মাকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে।’
প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। হাসপাতালে অভিষেকের সঙ্গে কথা হয় চিকিত্সকদের এবং মুকুল পুত্রের। অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে প্রশংসা করেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি বলেন, মা অসুস্থ জেনেই অভিষেক হাসপাতালে ছুটে আসে। রাজনীতিতে আমরা ভিন্ন দল করলেও ও যেভাবে আমাদের পাশে থাকতে ছুটে এসেছে তাতে আমি আপ্লুত।
এর পাশাপাশি শুভ্রাংশু আরও জানান, আমি তো এবার ভোটে হেরে গেছি তা সত্ত্বেও অভিষেক আমার পাশে এসে দাঁড়ানোয় আমি কৃতজ্ঞ। আমি আর অভিষেক একসঙ্গে বড় হয়েছি। আমার মাকে ও কাকিমা বলে ডাকে। আর অভিষেক শুধু আমার মায়ের খোঁজ নয় বাবার খোঁজও নেয়। শরীর কেমন আছে জানতে চায়। মমতা ব্যানার্জিও বাবর খোঁজ নেন। বাবা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করছে কিনা, কোভিডের টিকা নিল কিনা।
মুকুল পুত্রের কথা শুনে রাজনৈতিক মহল বলছে শুভ্রাংশুর তৃণমূলে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে মুকুল পুত্রের সখ্যতা বেড়েছে তা থেকে পরিষ্কার যে শুধু শুভ্রাংশু নয় মুকুল রায়ও তৃণমূলে ফেরার রাস্তা তৈরি করছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় জানান, ‘আমার স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ বাবু গিয়েছিলেন সেবিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য ছিল না। আমাকে তো বলে যাননি। কাকে দেখতে গিয়েছিলেন সেবিষয়েও কিছু জানি না। আর কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে দেখতে যেতেই পারেন। এতে কোনও সমস্যা নেই। এর জন্য রাজনীতিকে জড়াবেন না।’
রাজনীতিকে জড়িয়ে ফেলতে বারণ করলেও মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ বাবুর যে খুব একটা যোগাযোগ নেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। মুকুল রায়ের কথাতেই ইঙ্গিত মিলছে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, অসুস্থ মানুষকে দেখতে হলে জানিয়ে যেতে হয় তা আমার জানা ছিল না।
মুকুল ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু নেতা কাশেম আলিরাও বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখাও করেন। এখন দেখার কাশেম আলি, কবিরুলদের সঙ্গে শুভ্রাংশু রায়, মুকুল রায়ও তৃণমূলে ফিরে যান কিনা। বিজেপি থেকে একাধিক নেতাও দলবদল করে তৃণমূললে ফিরবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
সুত্র : আজকাল