রাজ্য

দলের সাধারণ সম্পাদিকা সায়ন্তিকা! মদন বাণে বিদ্ধ সায়ন্তিকা

দলের সাধারণ সম্পাদিকা সায়ন্তিকা! মদন বাণে বিদ্ধ সায়ন্তিকা - West Bengal News 24

২৪ ঘন্টা এখনও পার হয়নি তৃণমূলের নতুন পদপ্রাপ্তিদের তালিকা সামনে আ’সার। কিন্তু সেই ঘটনাকে ঘিরে দলের অন্দরেই যে চোরা স্রো’ত বইতে শুরু করে দিয়েছে কার্যত তাকেই এবার সা’মনে নিয়ে চলে এলেন মদন মিত্র। বর্ষীয়াণ এই নেতাকে ঘিরে রাজ্যের মানু’ষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বেড়ে চললেও দল তাঁকে সে অর্থে এখনও দাম দেয়নি। তিনি এখন শুধুই বিধায়ক।

রাজ্যের মন্ত্রী বা দলের পদাধিকারী তাঁকে করা হয়নি। তা নিয়ে যে শুধু তাঁর ম’নেই ক্ষোভ জমছে তা নয়, ক্ষোভ জ’মছে তাঁর অনেক অনুরাগীদের মধ্যেও। নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় অভিযুক্ত হয়েও যদি মন্ত্রী হতে পারেন তাহলে মদন মিত্রের ক্ষেত্রে তা কেন করা হয়নি সেই প্রশ্ন কিন্তু এবার বেশ জোরালো ভাবে উঠে আসছে। সেই সঙ্গে তাঁকে দলের কোনও পদ না দেওয়ায় সেই ক্ষোভ কার্যত এবার বেশ বাড়তে শুরু করে দিয়েছে।

একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের পদ না দিয়ে টলি তারকাদের পদ প্রদানকে ঘিরে যে ক্ষোভ দলের অন্দ’রেই দানা বেঁধে উঠছে তা এবার নানান মাধ্যমে সামনে চলে আসার ইঙ্গিত দিতে শুরু করে দিয়েছে। মদম মিত্র কার্যত সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণের উদ্বোধনটা করে দিলেন সায়ন্তিকাকে আক্রমণ শানিয়ে।

টলি তারকাদের তৃণমূলে যোগদান ও নানা ভোটে দলের টিকিট পেয়ে লড়াই করা কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু তা নিয়ে দলের অ’ন্দরে চোরা স্রোত থাকলেও তা ক্ষোভে রূপান্তরিত হয়নি। কিন্তু এবার যেভাবে সায়নী, সায়ন্তিকা, লাভলি, জুন, রাজ চক্রবর্তীদের দলের পদ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে দলের প্রায় সর্বত্রই ক্ষোভ চূড়ান্ত আকার ধারন করেছে। কারন কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে তাঁরা এই পদ পেয়েছেন, আর কোন কারনে দলের নেতাকর্মী যারা সপ্তাহের ৭দিনই দলের জন্য মাঠে পড়ে থেকে কাজ করেন তাঁরা বঞ্চিত হলেন সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দলের হাঁড়ির অন্দরে যে ক্ষোভ ফুটছে কার্যত তাঁর মুখটাই এদিন খুলে দিয়েছেন মদন মিত্র। দলনেত্রীর বারণ সত্ত্বেও ফেসবুকে এসে লা’ইভ করে বলেছেন, ‘সুন্দর কমিটি হয়েছে। বেস্ট টিম ইন দ্য হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেসি। সায়ন্তিকা দলের সাধারণ সম্পাদিকা! ভাবা যায়। কী হয়ে যাচ্ছে পার্টিটা। ও লাভলি। দিদির কাছে মদন মিত্রের ফেসবুকের থেকে ফেসভ্যালুর দামটা বেশি। কোথাও কোনও দাগ নেই, কাটা, ছেঁড়ার দাগ নেই। এত দিন দিদির ডিপ ডিফেন্সে আমি জাগ্রত ছিলাম। এ বার থেকে অভিষেকের ডিফেন্সেও আছি।’

বস্তুত রাজ্য রাজনীতির অভিজ্ঞ থেকে বিশা’রদ অনেকেই মনে করছেন দলের সর্বক্ষণের লড়কু নেতানেত্রী কর্মীদের পদ না দিয়ে টলি তারকাদের পদ দিয়ে দলের কোনও উন্নতি ঘটানো যাবে না। কারন এদের ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা বলে কার্যত কিছুই নেই। দলের আলোয় এরা আলোকিত। এদের পদ দিয়ে দল আলোকিত হবে না। বরঞ্চ দলের জন্য, মানুষের জন্য দলের যে সব নেতানেত্রী, কর্মীরা সারা বছর কাজ করে চলেন কার্যত তাঁদের দল থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

মদনবাবুর ক্ষোভ খুবই স্বাভাবিক। তাঁর জন’প্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা দেখে দলের উ’চিত ছিল তাঁকে যথাযথ দাম দেওয়া। কার্যত তা না করে তাঁর প্রতি দল যে উপেক্ষা দেখাচ্ছে তা সা’ধারন মানুষ তথা তৃণমূলের সমর্থকদেরও কোথাও আঘাত দিচ্ছে। আর দলের জন্য কাজ করে দলের কর্মীরাই যদি দাম না পান তাহলে তাঁরাই বা দল করবেন কেন? যদিও এই সব প্রশ্ন নিয়ে ভাব’তে ইচ্ছুক নয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে ‘দিদি’র ইচ্ছাই শেষ কথা।

সুত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য