অর্থনীতি

জিএসটি থেকে উপার্জন ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়েছে, ৮ মাসেই কিস্তিমাত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের

জিএসটি থেকে উপার্জন ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়েছে, ৮ মাসেই কিস্তিমাত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের - West Bengal News 24

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু ভার’ত। একাধিক রাজ্যে মে মাসে’ই লাগু হয়েছে লকডাউন। যা অর্থনীতির উপর সাংঘা’তিক আঘাত আনবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, মে মাসে জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যান অনুসারে বলা যায়, যতটা আ’শঙ্কা করা হচ্ছিল সেই তুলনায় বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। এপ্রিলের তুলনায় কম হলেও চলতি বছর মে মাসেও জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ কোটির বেশি।

ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে যা বেশ আ’শাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে, ভিন্ন মতও রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, লকডাউনের ধাক্কা ভার’তীয় অর্থনীতির উপর কতটা প্রভাব ফেলছে তা নির্ণয়ের জন্য আগামী ক’য়েক মাসের জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যানের উপর নজর রাখা প্রয়োজন।

অর্থমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনু’সারে, চলতি বছর মে মাসে জিএসটি আদায় হয়েছে ১,০২ লক্ষ কোটি। এপ্রিলে এই সংখ্যা ছিল ১,৪১,৩১৪ ল’ক্ষ কোটি। মহামারীকালে যা রেকর্ড। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে জিএসটি আ’দায় হয়েছে ২৭ শতাংশ কম। কিন্তু, করোনা আবহে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের মধ্যেও জিএসটি আদায় লক্ষে কোটির বেশি সংগ্রহ হওয়াকে কিছুটা হলেও স্বস্তির ইঙ্গিত বলে মনে করছে কেন্দ্র।

এই নিয়ে টানা আট মাস জিএস’টি আদায় লক্ষ কোটি অতিক্রম করল। ডেলয়েট ইন্ডিয়ার সিনিয়ার ডিরেক্টার এন এস মানির কথায়, ‘জি’এসটি আদায়ের হারই ইঙ্গিত কর’ছে যে লকডাউনের প্রভাব যে হারে অর্থনীতির উপর পড়বে বলে মনে করা হয়েছিল তার তুল’নায় অনেক কম পড়েছে। তবে আগামী মাসের জিএসটি সংগ্রহের তুল্যমূল্য বিতার করেই লকডাউনের প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বলা সম্ভব।’

করোনা সংক্রমণ ঠেকা’তে গত বছর মার্চ থেকে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন লাগু হয়েছিল। বন্ধ হয়েছিল অর্থনৈতিক কা’র্যক্রম। যার প্রভাব পড়েছিল জিএসটি সংগ্রহে। গত বছরের এপ্রিলে জিএসটি সংগ্রহ নে’মে দাঁড়ায় ৩২,১৭২ কোটি টাকায়। যা পর্যন্ত সবচেয়ে কম।

লকডা’উন শিথিল হওয়ার পর অবশ্য অর্থনীতির চাকা ঘোরে। কল-কারখানা সহ অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু হতেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জিএসটি সংগ্রহ। ২০২০ সালের মে মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ৬২.০০৯ কোটি। তবে, জিএসটি আদায় ১ লক্ষ কোটি ছাড়াতে তারপর সময় লেগে যায় ৬ মাস। গত বছর অক্টোবরে জিএসটি আদায়ের হার ছিল ১.০৫ লক্ষ কোটি।

প্রেস বিবৃতিতে শনিবার অর্থমন্ত্র’কের তরফে বলা হয়েছে যে, ‘একাধিক রাজ্যে লকডাউন সত্ত্বেও টানা আট মাস জিএসটি আদায় লক্ষ কোটি টাকা’র গণ্ডি ছাড়াল।’ কেন্দ্র মনে করছে, ছোট করদা’তারা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জিএসটি আদায় সম্পূর্ণ করলে মে মাসে সংগৃহীত অর্থের সম্পূর্ণ তথ্য মিলবে।

অর্থমন্ত্রক জানাচ্ছে, ৫ কোটি টাকা’র বেশি আয় করা সংস্থাগুলিকে ৪ জুন পর্যন্ত রিটার্ন জমার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ওই অঙ্কের কম আয়ের ছোট করদাতাদের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রয়েছে। ফলে মে মাসের পুরো হিসেব পেতে এখনও সময় লাগবে। মনে করা হচ্ছে, ছোট করদাতাদের জমা রিটার্ন ধরলে মে মাসে জিএসটি আরও বেশ কিছুটা বাড়বে।

শনিবার অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, মে মাসে কেন্দ্রীয় জিএসটি আদায় হয়েছে ১৭,৫৯২ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি ২২,৬৫৩ কোটি, সম্মিলিত জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ৫৩,১৯৯ কোটি টাকা। আর সেস বাবদ সংগ্রহ হয়েছে ৯,২৬৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে কর আদায়ের হিসাব গত বছরের মে মাসের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

সুত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য