হাওড়া

মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর সিভিক ভলেন্টিয়ারের

মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর সিভিক ভলেন্টিয়ারের - West Bengal News 24

গাড়িচালকদের ওপর জুলুম করে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার দের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ বরাবরের। সেই জুলুম থেকে বাদ যায়নি সাধারণ মানুষও। মদ খাওয়ার টাকা না দেওয়ায় এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়। শনিবার এই ঘটনাটি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আহতের পরিবার। ঘটনার ন্যায্য বিচারের দাবিতে ইতিমধ্যেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া ময়দান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রহৃত ব্যক্তির নাম সুনীল বরণ বোস। বছর ৬৮-র এই ব্যক্তি হাওড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। সুনীলবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য হাওড়া ময়দান এলাকায় গিয়েছিলেন সুনীলবাবু। অভিযোগ সেই সময়ই সুরজিত্‍ দে নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তাঁর দুই সঙ্গী সুনীলবাবুর রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তাঁর কাছে মদ খাওয়ার জন্য টাকা চাইতে থাকে।

সুনীল বাবু তাদের টাকা দিতে চায়নি। এরপরই ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং তার দুই সঙ্গী সুনীলবাবুকে বেধড়ক মারধর করেন। পরিবারের অভিযোগ তার সঙ্গে থাকা বাকি কিছু টাকাও কেড়ে নেয় তারা।

ঘটনাটির পর কোনমতে বাড়ি ফিরে সুনীল বাবু পরিবারের লোকজনদের গোটা ঘটনাটি বলেন। কিন্তু তিনি মারাত্মক আহত থাকায় রাতেই তাঁকে হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্‍সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর শনিবার সুনীলবাবুর পরিবারের তরফে গোটা ঘটনাটি জানিয়ে হাওড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

যদিও সুনীল বাবুর ভাগ্নে প্রসেনজিত্‍ সরকারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন রাতে সুনীলবাবুর বাড়িতে এসে ২৫০ টাকা ফেরত্‍ দিয়ে যায়।

তবে সুনীল বাবুর থেকে অভিযুক্ত ভলেন্টিয়ার ঠিক কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। কেননা বর্তমানে কথা বলার অবস্থায় নেই সুনীলবাবু। তাঁর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, একটি চোখও গুরুতরভাবে জখম। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর মাথায় এখনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও এখনই তা করতে পারছেন না চিকিত্‍সকরা।

গোটা ঘটনাটি ফেসবুকে পোস্ট করে ন্যায্য বিচারের দাবি জানান প্রসেনজিত্‍বাবু। তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট অবশ্য ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। তারপর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে হাওড়া পুলিশ প্রশাসন। অভিযুক্ত ওই সিভিক পুলিশকে গ্রেফতার করে হাওড়া থানার পুলিশ।

সুত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য