‘ উনি একজন অতৃপ্ত আত্মা, বিজেপির দালাল’, রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ কুণাল ঘোষের
সোমবার মুখ্যসচিব হরি’কৃষ্ণ দ্বিবে’দীকে ডেকে পাঠালেন রাজপাল জগদীপ ধনখড়। তার আগে আজ রবিবা’র নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা’য়কে বিঁধে টুইট করেছেন তিনি। আর তখনই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ’ভবন–নবান্ন সংঘাত। আর এই সংঘাতের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদমর্যাদাকে ধুলোয় মিশি’য়ে দিয়েছেন। তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত।’
‘
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সোমবার সকাল ৭টায় মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন তিনি। এত সকালে কেন তিনি ডেকে পাঠালেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আবার এই বার্তা মধ্যরাতে টুইট করেন রাজ্য’পাল। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী হিংসা যেভাবে চলছে, মানবতাকে লজ্জা দেবে। পুলিশ কিছুই করছে না। ফলে সাহস বাড়ছে। পুরোটাই বিরোধীদের শাস্তি দিতে।’ তিনি এই টুইট করলেও কোনও তথ্য সেখানে পেশ করেননি। আগে তিনি তা করতেন। স্বাভাবিকভাবে এই টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপাল একজন অতৃ’প্ত আত্মা। বিজেপির দালাল। নির্লজ্জে’র মতো একুশের নির্বাচনের আগে একজন রাজ্যপাল পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। যেটা রাজ্যপাল পদে থেকে করা যায় না। বাংলার মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই অতৃপ্ত আত্মা, মানসিক অবসাদগ্রস্ত বৃদ্ধের এখন টুইট করাটাই কাজ হয়ে উঠেছে।’ কুণালের আক্রমণের প্রেক্ষিতে অবশ্য কোনও টুইট করেননি রাজ্যপাল।
তবে রাজ্যপালের অভিযোগ অস্বীকার করে কুণাল ঘোষ দাবি করে’ছেন, উস্কানিমূ’লক মন্তব্য করছেন রাজ্যপালই। তিনি নির্বাচনের পর থেকে টুইট করে সংঘাতের আবহ তৈরি করছেন। রাজ্যপাল অনে’ক সময় সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করছেন। উল্লেখ্য, আবার নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে আগেও রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে অভিযোগ করেন। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিনি কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম সফরে গিয়েছিলেন।
সুত্র : হিন্দুস্তান টাইমস