ঝাড়গ্রামের ব্যবসায়ী রতন চ্যাটার্জি করোনা যোদ্ধাদের দিলেন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর
স্বপ্নীল মজুমদার
ঝাড়গ্রাম: করোনা আক্রান্তদের যাতে আরও ভালোভাবে পরিষেবা দেওয়া যায়, সেজন্য এগিয়ে এলেন ঝাড়গ্রাম শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ চ্যাটার্জি। যিনি রতন চ্যাটার্জি নামে সুপরিচিত।
রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের টেক্সপ্রিন্ট প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে রতনবাবু অক্সিজেন কনসেনট্রের, মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই কিট তুলে দিলেন করোনা যোদ্ধাদের হাতে।ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের ২০০০ সালের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ প্রাক্তনীদের সংগঠন ‘কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন ওয়াইটুকে এমপি অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যরা করোনা কালে এগিয়ে এসে নানা ভাবে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সাহায্য করছেন।
রতনবাবুও কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৬৮ সালে তিনি এই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। নিজের পুরনো স্কুলের একদল তরুণ প্রাক্তন ছাত্রকে করোনা আবহে ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিতে দেখে রতনবাবু তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন। আগামীতেও সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। রতনবাবুর স্ত্রী সমিতা চ্যাটার্জি একজন বিশিষ্ট মহিলা শিল্পদ্যোগী।
সমিতাদেবীর টেক্সপ্রিন্ট সংস্থার চাদর ও শয্যাসামগ্রী ও অন্দরসজ্জার সামগ্রী দেশে বিদেশে সমাদৃত। সমিতাদেবী সেরা মহিলা শিল্পদ্যোগী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। সামিতাদেবীর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে রতনবাবুর পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থন।
বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকায় দেখা যায় রতনবাবু ও সমিতাদেবীকে। গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এক লক্ষ এগারো হাজার একশো এগারো টাকা দান করেছিলেন সমিতাদেবী।