মর্মান্তিক! রাজস্থানে ৪৫ ডিগ্রি গরমে জল না পেয়ে মৃত্যু ৫ বছরের শিশুর
জলের অভাবে প্রাণ গেল পাঁচ বছরের নিরীহ এক শিশুর। রাজস্থানের (Rajasthan) জালোর (Jalore) জেলার ঘটনা। শিশুটির ঠাকুমাকেও তার পাশে বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনার একদিন পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে জানান। এই ঘটনার জন্য গেহলট সরকার এবং সোনিয়া গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, এখন কেন রাজস্থান সরকার, সোনিয়া এবং রাহুল একেবারে চুপ?
ঘটনার পর শিশু এবং মহিলাকে গ্রামবাসীরা যখন দেখতে পান তখনই তাঁরা পুলিশ খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অচৈতন্য বৃদ্ধ মহিলাকে জল খাইয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং শিশুটি দেহ ময়নাতদন্তের (postmortem) পর তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ময়নাতদন্তের (postmortem) রিপোর্ট থেকেও জানা যায় যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে জলের অভাবে।
জানা যায় যে, এই বেদনাদায়ক ঘটনাটি ঘটেছে জালোরের (Jalore) রানিওয়াড়া (Raniwara) এলাকার রোড়া গ্রামে। ঘটনাটি রবিবারের। সেদিন দুপুরে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪৫ ডিগ্রি। সেদিনের ওই প্রবল রোদ এবং গরমে একটু জল পায়নি অঞ্জলি নামের ছোট্ট শিশু কন্যাটি। আর তার জেরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। অঞ্জলির ঠাকুমা সুখীদেবীকেও তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি সেই সময় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন। স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এও জানা যায় যে, ওই দিন সুখীদেবী তাঁর নাতনিকে নিয়ে রায়পুর (Raipur) থেকে রানিওয়াড়ায় (Raniwara) হেঁটে আসছিলেন। করোনার জেরে সমস্ত যানবাহন বন্ধ ছিল। তাই প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার হেঁটে আসতে গিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়েন তাঁরা।
প্রখর রোদে জলের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ে দুজনের শরীর। আর শেষ পর্যন্ত সেই জলের অভাবেই রোড়া (Rora) গ্রামের পাশে মৃত্যু হয় ছোট্ট অঞ্জলির। তার পাশেই পড়ে থাকেন সুখীদেবী। তবে করোনা এবং প্রবল দাবদাহের কারণে গোটা এলাকা সেসময় জনশূণ্য ছিল। যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার অনেক পরে স্থানীয়দের নজরে আসে দুজনে। আর যখন তাদের নজরে আসে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছিল অঞ্জলির জীবন।
সুত্র : কলকাতা ২৪*৭