‘বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানতাম না’ : মুকুল
হেস্টিংসে আজ দলের সমস্ত পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক হলেও সেখানে গরহাজির ছিলেন মুকুল রায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘আজকের বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। কোনও আমন্ত্রণও পাইনি। আর আমি এখন যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি। তাই এসব নিয়ে কিছু বলতে পারব না’। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা দেবী এখন রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। তাই মুকুল রায় এবং তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় আপাতত রয়েছেন বেশ চিন্তায়। মুকুল ঘনিষ্ঠদের কথায়, দাদা এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছেন না। তাই এসব বৈঠকের ব্যাপারে কিছু জানতেন না। এদিনের বৈঠকে হাজির হননি মুকুল ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী দত্ত, রাজীব ব্যানার্জিরাও। যা নিয়েও বিজেপির অন্দরে উঠছে প্রশ্ন।
ভার্চুয়াল নয় এদিন হেস্টিংসে সবাইকে ডাকা হয়েছিল বৈঠকে কিন্তু মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব ব্যানার্জিরা এলেন না। কেন আসেননি তাঁরা এবিষয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কোনও তথ্য নেই। যদিও রাজীব ঘনিষ্ঠদের কথায়, পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় অসুস্থ রয়েছেন তাই এদিনের বৈঠকে যাওয়া হয়নি রাজীব ব্যানার্জির।
যদিও আজকের বৈঠকে কেন এলেন না এবিষয়ে রাজীব ব্যানার্জি নিজে থেকে দলকে কিছুই জানাননি। প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীর রয়েছেন ঘরছাড়া। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের ঘরে ফেরানো থেকে শুরু করে ইয়াসের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এই সমস্ত দাবিকে সামনে রেখে আগামী ১৯ জুন থেকে পথে নামছে বিজেপি।
আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েই আজ হেস্টিংসে দলীয় কার্যালয়ে সমস্ত পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনিতেই রাজ্য বিজেপি নেতারা রয়েছেন বেশ চাপে। কারণ গতকালই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, দলবদলু এবং বিজেপির জয়ী বহু বিধায়কও নাকি তৃণমূলে যোগ দিতে তৈরি।
আর এধরণের মন্তব্যের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। ঠিক কোন কোন বিধায়ক তৃণমূলে পা বাড়িয়ে। যদিও বিজেপির সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
সুত্র : আজকাল