অপচয় নয় ভ্যাকসিনের ডোজ বাঁচিয়েছে বাংলা, বেশি নষ্ট করেছে ঝাড়খণ্ড : স্বাস্থ্যমন্ত্রক
অপচয় তো নয়ই। উল্টে ভ্যাকসিন বাঁচিয়েছে বাংলা। গত মাসে কেন্দ্রের পাঠানো টিকার মধ্যে এ রাজ্যে ১.৬১ লক্ষ ভ্যাকসিন উদ্বৃত্ত রয়েছে। সরকারি পরিভাষায় বললে, ‘নেগেটিভ ওয়েস্টেজ’। যা শতাংশের হিসেবে -৫.৪৮%। একই ছবি দক্ষিণের রাজ্য কেরলেও। সেখানেও ভ্যাকসিন বেঁচেছে ১.১০ লক্ষ। নেগেটিভ ওয়েস্টেজ -৬.৩৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক মে মাসের রাজ্যভিত্তিক টিকাবণ্টনের হিসেব প্রকাশ করার পরেই এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। যদিও এর উলটো ছবিও রয়েছে। ভ্যাকসিন অপচয়ের নিরিখে শীর্ষে ঝাড়খণ্ড। বস্তুত, কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে সোরেন তাঁর রাজ্যের সমস্ত নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দিতে কেন্দ্রকে দায়িত্বগ্রহণের আর্জি জানান। তুলে ধরেন আর্থিক মন্দার প্রসঙ্গও। যদিও ভ্যাকসিনেশনের তথ্য একথা বলছে না।
কেন্দ্রের দাবি, গত মাসে ঝাড়খণ্ডে মোট ৩৩.৯৫ শতাংশ টিকা অপচয় হয়েছে। যা গোটা দেশে সর্বোচ্চ। তালিকায় এরপরেই রয়েছে ছত্তিসগড় (১৫.৭৯%) এবং মধ্যপ্রদেশ (৭.৩৫%)। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, কোভিড-বিধ্বস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির টিকাদান কর্মসূচির চেহারাও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।
পাঞ্জাব (৭.০৮%), দিল্লি (৩.৯৫%), রাজস্থান (৩.৯১%), মহারাষ্ট্রে (৩.৫৯%) গত মাস পর্যন্ত করোনা যেভাবে আঁচ ছড়িয়েছে, ঠিক সেভাবেই নষ্ট হয়েছে টিকার ভাঁড়ারও। যদিও সামগ্রিকভাবে বিতর্কের বাইরে নেই নরেন্দ্র মোদী সরকারও। পরিসংখ্যানমতে, এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে অনেক কম ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে কেন্দ্র। এপ্রিলে সমস্ত রাজ্যে মোট ৮৯৮.৭ লক্ষ টিকা পাঠানো হয়েছিল। অথচ গত মাসেই সেটা কমে ৬১০.৬ লাখে এসে দাঁড়ায়।
সুত্র : দ্য ওয়াল