উত্তর দিনাজপুর

দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বৌদির! ঘোর আপত্তি পরিবারের, আত্মঘাতী যুগল

দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বৌদির! ঘোর আপত্তি পরিবারের, আত্মঘাতী যুগল - West Bengal News 24

সকাল হতেই প্রতিবেশীরা দেখতে পান গাছ থেকে ঝুলছে দুটি দেহ। সম্পর্কে তারা দুজন দেওর ও বৌদি। দীর্ঘদিন ধরে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাদের মধ্যে। পরিবারের লোকজন কখনও মেনে নেননি তাদের এই সম্পর্ক। শেষপর্যন্ত তাই আত্মহত্যা করলেন দু’জনে। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।

ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের সীমান্ত এলাকার বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শীতলপুরের। শুক্রবার সকাল বেলা প্রতিবেশীরা পাড়ারই একটি আমগাছ থেকে দেওর ও বৌদির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃত মহিলার নাম মুনুমন দাস মাইতি, বয়স ২৯ বছর। মৃত যুবক বিশ্বজিত্‍ দাস, বয়স ২৫ বছর। বিশ্বজিত্‍ সম্পর্কে মুনুমনের দেওর হয়।

পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর আগে দাস পরিবারের বড় ছেলে দীপক দাস ওরফে বাপ্পার সঙ্গে বিয়ে হয় মুনমুনের। দু’জনের আট বছরের একটি মেয়ে এবং তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কর্মসূত্রে বাপ্পা বহুদিন ধরেই কেরলে রয়েছেন। সেই সময়ই দেওর-বউদির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হতেই আপত্তি করেন বাড়ির লোকজন। দীর্ঘদিন এই নিয়ে অশান্তিও হয়। দিনচারেক আগেও দেওর-বউদির এই অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে পরিবারে তুমুল অশান্তি হয়।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা মুনমুন এবং বিশ্বজিত্‍ বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে ফের তাঁরা বেরিয়ে যান। সেদিন রাতে তারা আর বাড়ি ফেরেননি। এরপরই সকালবেলা বাড়ির অদূরেই আমগাছে তাঁদের দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশিরা। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেন তাঁরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেজিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেখানেই মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাড়ির অশান্তির কারণেই আত্মহত্যা করেছেন মুনমুন এবং বিশ্বজিত্‍। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিশ্বজিতের মা-বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সুত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য