কথা রাখেনি সরকার! বিনামূল্যে জমি, সরকারি চাকরি পায়নি ঝাড়খন্ডের ২ শহিদ জওয়ানের পরিবার
কথা দিয়েও রাখেনি সরকার। প্রতিশ্রুতিভঙ্গের যন্ত্রণায় দিন কাটছে গালওয়ান সংঘর্ষে ঝাড়খন্ডের শহিদ কুন্দন ওঝার পরিবারের। লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষে দেশের এক ইঞ্চি জমিও না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করে যে ২০ ভারতীয় জওয়ান জীবন বলিদান দিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন কুন্দন। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই এক বছর হচ্ছে গালওয়ান সংঘর্ষের।
১৫ জুনের সেই সংঘর্ষে নিহত কুন্দন তখন সদ্য কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন, যার বয়স মাত্র ১৭ দিন। কিন্তু সাহিবগঞ্জের দিহারি গ্রামের বীর সন্তানের পরিবারের কষ্টের অবসান হয়নি। কুন্দন একা নন, সেদিন ঝাড়খন্ডের আরেক সন্তানও শহিদ হন। তাঁর নাম গণেশ হাঁসদা। গণেশ ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য।
গত বছরের ১৮ জুন কুন্দন, গণেশের নিথর দেহ গ্রামে এলে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ক্ষতিপূরণ ছাড়াও শহিদ পরিবারহগুলিকে বিনা মূল্যে জমি দেবেন, ওদের পেট্রল পাম্প বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রকেও আবেদন করবেন বলে সবার সামনে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঝাড়খন্ড সরকার তাঁদের শুধু এককালীন ১০ লাখ টাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কুন্দনের স্ত্রী নম্রতা। গণেশের পরিবারও শুধু টাকাই পেয়েছে। কিন্তু বিনামূল্যে জমির প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি এখনও।
নম্রতা সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার স্বামী দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন, জীবন বলিদান করেছেন। কিন্তু সরকার শহিদের স্ত্রীর জন্য কিছু করতে পারল না। মেয়েকে মানুষ করতে, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে সরকারের কাছে চাকরি পেতে সাহায্য দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, এক বছর হল একটা কাজ পেলাম না! সরকারের আমার একটা চাকরির বন্দোবস্ত করে দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, বিহার, পঞ্জাবের গালওয়ান সংঘর্ষে নিহত জওয়ানদের পরিবারের কেউ না কেউ সরকারি চাকরি পেয়েছেন। পঞ্জাব সরকার তো নিয়মই সংশোধন করে গত বছর যাতে গালওয়ানে নিহত রাজ্যের তিন অবিবাহিত যুবকের বিবাহিত ভাইবোনেরা চাকরি পায়।
সূত্র : দ্য ওয়াল