বাইডেন-ট্রুডোর চেয়ে এগিয়ে থেকেও জনপ্রিয়তায় ধস মোদির
গ্রহণযোগ্যতার তালিকায় জো বাইডেন, বরিস জনসনদের থেকে এগিয়ে থাকলেও সামগ্রিক হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা কমেছে তাঁর। গত দু’বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা সূচক অনেকটাই পড়েছে বলে দাবি করল আমেরিকার সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়ে ওই সংস্থা জানাচ্ছে, চলতি বছরে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা সূচক ৬৬ শতাংশ। গত ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী অনুচ্ছেদ ৩৭০ তুলে নেওয়ার পর মোদির গ্রহণযোগ্যতা সূচক ছুঁয়েছিল ৮২ শতাংশ।
ওই সমীক্ষায় মোদির ঠিক নীচেই রয়েছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা সূচক ৬৫ শতাংশ। তাঁর পরেই রয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর (৬৩ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (৫৪ শতাংশ), জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল (৫৩ শতাংশ)।
ছ’নম্বর স্থানে রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (৫৩ শতাংশ) এবং আট নম্বরে রয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (৪৪ শতাংশ)। ভারতে ২,১২৬ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে ওই সংস্থা। তাতে দেখা গিয়েছে, ৬৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান। তাঁর বিরোধিতা করেছেন ২৮ শতাংশ। ‘মর্নিং কনসাল্ট’ এর সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশের রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নিজেদের সমীক্ষার সারবত্তা সম্পর্কে ওই সংস্থার দাবি, বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে তারা মতামত গ্রহণ করেছে। আমেরিকার ক্ষেত্রে অবশ্য বর্ণগত শ্রেণীভেদের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। সমীক্ষা বলছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র গ্রহণযোগ্যতা সূচক মাত্র ৩৫। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৪৮ শতাংশ।
সুত্র : আজকাল