জম্মু কাশ্মীরের ড্রোন বিস্ফোরণে চিনা যোগ থাকার সম্ভাবনা
জম্মু কাশ্মীরে বায়ুসেনার আওতাধীন এলাকার বিমানবন্দরে শনিবার মধ্যরাতে জোড়া বিস্ফোরণ হয়। মিনিট পাঁচেকের ব্যবধানে পরপর দুবার কেঁপে ওঠে উপত্যকা। জানা যায়, ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ড্রোন এসেছিল চিন থেকে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ-র প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে তা চিন থেকেই পাঠানো হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার নয়।
শুধু জানা গেছে, ওই ড্রোন ছিল ‘মেড ইন চায়না’। চিনা সেই ড্রোন পাকিস্তান হয়েই জম্মু বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিল বলে খবর। শনিবার মধ্যরাতের এই বিস্ফোরণে বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দুজন আহত হয়েছেন, একটি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে গোটা ঘটনার পিছনে যে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন গোয়েন্দারা।
দেশের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে এই ধরনের ড্রোন হামলার ঘটনা বিরল। জানা গেছে, বিস্ফোরণের পরপরই এলাকায় আরও একটি বোমার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। কোনও জনবহুল এলাকায় এই বোম রাখার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের, তেমনটাই অনুমান করছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ।
অভিনব এই ড্রোন হামলার পরেই সতর্কতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উপত্যকা এলাকায়। তদন্তও চলছে জোরকদমে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, স্টেশনে মোতায়েন করা ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলিকেই নিশানা করেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংয়ের কথায়, বিস্ফোরকবাহী ড্রোনের মাধ্যমে মধ্যরাতে হামলা চালানো হয়েছিল। এটা লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল।
সূত্র : দ্য ওয়াল