ট্রেন পোড়ালে ক্ষতি করদাতাদেরই : রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
উন্নয়নের স্বার্থে নিয়মিত কর দিন। সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে এমনই আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত শুক্রবার তিনি উত্তরপ্রদেশের ঝিনঝক টাউনে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ওই শহরের কাছে পারাউনখ গ্রামেই রয়েছে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। ঝিনঝক টাউনের রেলস্টেশনে অনুষ্ঠিত এক সভায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমিও নিয়মিত কর দিই।’
রাষ্ট্রপতির কথায়, ‘অনেক সময় দেখা যায়, কোনও নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন না থামলে জনতা রেগে যায়। কখনও হয়তো তারা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয়। যদি কোনও ট্রেনে আগুন লাগে, তাহলে কার ক্ষতি হয়? সকলেই জানে, ট্রেন সরকারের সম্পত্তি। করদাতাদের টাকায় ট্রেন চলে।’ পরে তিনি বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে উঁচু পদের কর্মচারী হলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু তাঁকেও কর দিতে হয়।
আমি মাসে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা কর দিই। সকলেই জানে, রাষ্ট্রপতি মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা বেতন পান। কিন্তু এই টাকা করযোগ্য।’ রবিবার রাষ্ট্রপতির নিজের গ্রামে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কখনও ভাবিনি আমার মতো গ্রামের ছেলে দেশের রাষ্ট্রপতি হবে।’
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে টুইটারে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা যায়, হেলিকপ্টারে চড়ে নিজের গ্রামে নামার পরে রাষ্ট্রপতি মাটিতে মাথা নত করছেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমি এই গ্রামের মাটির দৌলতেই এতদূরে পৌঁছতে পেরেছি।’ গত সপ্তাহে তিনদিনের সফরে উত্তরপ্রদেশে যান রাষ্ট্রপতি।
সফরের সময় একটি অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে যায়। শুক্রবার রাতে তিনি পৌঁছন কানপুরে। শহরের যে পথ দিয়ে তাঁর কনভয় যাচ্ছিল, সেখানে যানবাহন বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এক অসুস্থ মহিলাকে নিয়ে ওই পথ দিয়েই হাসপাতালে যাচ্ছিল তাঁর পরিবার। রাস্তা বন্ধ থাকায় সময়মতো মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি।
পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে মৃতার পরিবারের কাছে ক্ষমা চায় কানপুর পুলিশ। মৃত মহিলার নাম বন্দনা মিশ্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫০। তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের কানপুর চ্যাপ্টারের মহিলা শাখার প্রধান ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। শুক্রবার রাতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। কিন্তু পথে দেরি হওয়ার জন্য তিনি মারা যান।
সূত্র : দ্য ওয়াল