নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডের পাশাপাশি উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ প্রসঙ্গে সুর চড়ান। তিনি বলেন, ‘চাকরি পরীক্ষার নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এখন মামলার নামে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। চাকরি না পেয়ে অনেকে আত্মহত্যা করছেন।’
ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে ফের একবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ। শুধু সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে দায় ঝাড়া যাবে না। পুরো সরকারটাই জালি হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন ভোট দিয়ে ভাবছেন কাকে ভোট দিলাম! পাঁচ বছর কি এই জালি করে চলবে? এভাবেও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দেবাঞ্জন ধরা না পড়লে বলতেন মোদী জাল ভ্যাকসিন দিয়ে মেরেছে।‘
এদিন নবান্নে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হবে, এমন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘শুধু কাঁথি কেন, অন্য সমবায় ব্যাঙ্কেও দুর্নীতি। দু’জন সেচমন্ত্রী বিজেপিতে এসেছে বলেই কি এখন তদন্ত? শিক্ষা দফতরে এত দুর্নীতি, তদন্ত নয় কেন?’ তাঁর অভিযোগ, ‘দেনার দায়ে ডুবে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিকে টাকা নেই কিন্তু বিমান কিনছেন।
উনি পুজোর আগে পেনশন ঘোষণা করলেন। গৃহবধূদের ৫০০ টাকা। জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের জন্য টাকা। একবার টাকা দিয়ে বলছেন টাকা নেই। এটা পুরনো অভ্যাস। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সন্দেহ প্রকাশ করছেন, মানে এটা ছিদ্রমুক্ত নয়।‘
এদিকে, নবান্নে ভ্যাকসিন-কাণ্ডে সরব হয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চোর-ডাকাতেরা ছবি তুলে রাখার চেষ্টা করে। আমার সঙ্গেও অনেকে ছবি তলার চেষ্টা করেছে। আমি না করে দিই। দুষ্টু লোকেরা সরকারের লোগো জাল করে। ভ্যাকসিন নিয়ে যা হল সেটা একটা বিছিন্ন ঘটনা। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, ‘এসএসকেএম এবং উত্তরবঙ্গে ক্যান্সার হাসপাতাল হবে। টাটা মেডিক্যালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই উদ্যোগ। রাজ্যের ক্যান্সার আক্রান্তের ২৫% মুম্বাইতে যান চিকিৎসা করাতে। সেই শ্রম কমাতেই এই উদ্যোগ।‘
সূত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস