কলকাতা হাই কোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতাদের নাম। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ২ নেতারও নাম রয়েছে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র রিপোর্টে। বীরভূমের জেলা রাজনীতিতে ওই ২ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ অনুগামী বলেই পরিচিত।
ওই ২ নেতার মধ্যে একজন আবার বীরভূম জেলা পরিষদের কর্ম্যাধক্ষ পদে রয়েছেন। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই যথেষ্ট চাপে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বীরভূম জেলাই হল সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাস কবলিত এলাকা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বীরভূম জেলায় প্রায় ৩১৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্ত হিসেবে ৩ জন তৃণমূল নেতার নাম তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বোলপুর-নানুর এলাকার বীরভূম জেলা পরিষদের কর্ম্যাধক্ষ করিম খান এবং নানুর বিধানসভার কঙ্কালীতলা এলাকার দাপুটে নেতা শেখ মামন। তৃণমূল নেতা পঞ্চানন খানের নামও রয়েছে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র রিপোর্টে।
বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পরে বীরভূম জেলায় সন্ত্রাস বিশেষ হয়নি। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র রিপোর্টে রাজ্যর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, কলকাতার দাপুটে তৃণমূল নেতা জীবন সাহা, কোচবিহারের তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকেও কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, চক্রান্ত করে বিজেপি এইভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কাজে লাগিয় তৃণমূল নেতাদের নামে বদনাম করতে চাইছে। যদিও এ অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্ব।
সূত্র : আজকাল