১৩ নম্বর সংখ্যাটিকে কেন অশুভ মানা হয় জানেন?

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর! মানুষের বিশ্বাস এবং কুসংস্কার সবটাই যেন মানুষের চিন্তাভাবনার উপরে নির্ভর করে৷ ভারত হল এমন একটি দেশ যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ বসবাস করে৷ তাদের প্রত্যেকের চিন্তাভাবনা আলাদা, বিশ্বাস অবিশ্বাস সমস্ত কিছুই ভিন্ন৷ এমনই বেশ কিছু কুসংস্কার রয়েছে যা একেবারেই ভিত্তিহীন৷ কিন্তু সাধারণ মানুষ অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করে৷

১। মইয়ের নীচ দিয়ে কখনও হাঁটতে নেই৷ অনেকেই এই নিয়ম মেনে চলেন৷ কারণ দেওয়ালে মই যদি হেলান দিয়ে রাখা হয় তাহলে তা পিরামি়ডের ন্যায় ত্রিভুজাকারে দেখতে লাগে৷ পিরামিডের মত দেখতে বলেই কখনও মইয়ের নীচ দিয়ে হাঁটতে নেই৷

২। সূর্যাস্তের পর নখ কাটতে নেই৷ এমনটাই বিশ্বাস করেন অনেকেই৷ কারণ আগেকার দিনে বিদ্যুৎয়ের ব্যবস্থা ছিলনা৷ সেই কারণে তা বাড়ির জন্য দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন৷ কিন্তু আসল বিষয়টি কিন্তু একেবারেই আলাদা৷ অন্ধকারের মধ্যে নখ কাটতে গেলে হাত কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়৷ সেই কারণেই এই নিয়ম চালু ছিল৷ যা পরবর্তীকালে একটি কুসংস্কারে পরিণত হয়৷

৩। অশুভ সংখ্যা নাকি ১৩৷ বিশ্বের বেশীরভাগ মানুষই মনে করেন ১৩ হল অশুভ সংখ্যা৷ কারণ এই সংখ্যাটির সঙ্গে বেশ কিছু গল্প জড়িয়ে রয়েছে৷ যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে এটি কিছুটা হলেও সম্পর্কিত৷ যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন জুড়াস৷ সেই জুড়াস যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে একটি আলোচনা টেবিলে বসেছিল৷ ১৩নম্বর সিটে৷ সেই কারণেই এই নম্বরটিকে অশুভ মনে করা হয়৷

৪। কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে দই চিনি খাওয়ার রীতি আছে৷ এটি কুসংস্কার হলেও এই বিষয়টির কিন্তু যুক্তি রয়েছে৷ দই মানুষের শরীরকে ঠান্ডা করে৷ অপরদিকে, চিনি মানুষের শরীরে গ্লুকোজ যোগায়৷ তাই ভারতের মত দেশে দই চিনি খেয়ে রাস্তায় বেরোনো যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত৷

৫। ঘরের ভিতরে ছাতা খুলতে নেই৷ ছোটবেলা থেকেই এমনই একটি রীতি শোনা যায় ঠাকুমা দিদিমাদের মুখে৷ এতে নাকি ক্ষতি হয়৷ কিন্তু বিষয়টি একেবারেই সেটি নয়৷ ঘরের ভিতরে ছাতা খুললে ছাতার কোনও অংশে আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ সেই কারণেই ছাতা খুলতে নিষেধ করা হয় ঘরের ভিতরে৷