নদীয়া

কান ধরে উঠবোস, জামা গেঞ্জি খুলে নাক মুখ বাঁধা! অসচেতনদের শাস্তি দিতে পথে নামলো শান্তিপুর থানার প্রশাসন, গ্রেফতার ৩৫ জন

মলয় দে

কান ধরে উঠবোস, জামা গেঞ্জি খুলে নাক মুখ বাঁধা! অসচেতনদের শাস্তি দিতে পথে নামলো শান্তিপুর থানার প্রশাসন, গ্রেফতার ৩৫ জন - West Bengal News 24

কান ধরে উঠ বোস, সঙ্গে মুখে বলতে হচ্ছে ‘মাক্স ছাড়া আর বাইরে বেরোবো না’। আইন ভঙ্গকারীদের শিক্ষা দিতে শুধু গ্রেপ্তার নয়, লোকভরা রাস্তার মাঝেই করানো হলো কান ধরে উঠবোস। মাস্ক নিয়ে বেরোতে ভুলে গেলে, গায়ের জামা গেঞ্জি খুলে মুখে বাঁধিয়ে বাড়ি পাঠালো প্রশাসন।তত্ত্বাবধানে নদীয়ায় রানাঘাট মহকুমা শাসক রানা কর্মকার।

করোনা সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং তৃতীয় ঢেউ যাতে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকার পূর্বে জারি করা নাইট কারফিউ কড়া হাতে রক্ষা করেছে প্রশাসন। প্রশাসনিক উদাসীনতায় হোক বা মানুষের সচেতন বোধের অভাব! ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে উঠছিলো জনজীবন, অনেকেই ভুলতে বসেছিলো করানোর ভয়াবহ প্রভাব এখনো যে কমেনি !

তাই তাদের সু অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য জনসাধারণের সার্বিক মঙ্গল কামনায় রাত নটার পর সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং অপ্রয়োজনে যেন কেউ বাইরে না বের হয় তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে মহকুমা শাসক রানা কর্মকার উপস্থিতিতে পথে নামেন শান্তিপুর থানার প্রশাসন সঙ্গে ছিলেন শান্তিপুর ব্লকের বিডিও প্রণয় মুখার্জি, ওসি সুমন দাস। রাত নটার পর যে সমস্ত দোকান খোলা ছিলো সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।

শুধু শাসন নয়, আগের দিন থানা কর্তৃপক্ষের প্রচার গাড়িতে চলেছিলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ। প্রশাসনিক সূত্রে জানাযায় গতকাল রাত ন’টা থেকে দশটা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই তল্লাশিতে 35 জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এবং নিয়মিত প্রতিদিন এই তল্লাশির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে, থাকবে প্রচার গাড়ির অনুরোধের ব্যবস্থাও।

তবে সাধারণ পথচলতি মানুষের গুঞ্জনে শোনা গেলো, চাপা অভিমানের এর সুর! উপর মহল থেকে নির্দেশ আসলে তখনই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন! প্রচার গাড়ি বেরোয় নিয়ম রক্ষার জন্য। পাড়ার অলিগলি প্রত্যন্ত গ্রামে পৌছায়না সে বার্তা! তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অঙ্গীকারে তাদের অনুরোধ, অপ্রয়োজনে যারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন , এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছেন তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া দরকার! তবে সাধারণ মানুষের জনভোগান্তি না বাড়ে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য