ওপার বাংলা

ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পরকীয়া প্রেমিক, হত্যা করেন স্ত্রী

ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পরকীয়া প্রেমিক, হত্যা করেন স্ত্রী - West Bengal News 24

লালমনিরহাটে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি জলিলের মরদেহ অবশেষে ১১দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আল সোহানের উপস্থিতিতে পৌরসভার সাপটানা কবরস্থান থেকে জলিলের লাশ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, সদর থানার ওসি শাহা আলম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সদর ফাড়ির ইনচার্জ) মাহমুদুন্নবীসহ মামলার বাদীর পরিবারের লোকজন।

এর আগে মৃত জলিলের তিনদিনের কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে জলিলের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মমিনা বেগমকে তাদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যেতে বলেন। কিন্তু মমিনা বেগম তাদের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানান। প্রয়োজনে সেখানেই আবার বিয়ে করবেন বলে জানান মমিনা বেগম।

মৃত ছোট ভাই জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগমের এমন কথা শোনার পর রশিদের সন্দেহ হয়। এ কারণেই ঘটনার পরদিন (২৫ জুলাই) তার ছোট ভাই জলিলকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামালের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো ক্লু পাচ্ছিলো না পুলিশ। পরে তাদের ফোনকল যাচাই করে (২৭ জুলাই) মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরকীয়ার কারণেই জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী। হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে বাকি দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানীকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে আদালত। এর ধারাবাহিকতায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আল সোহানের উপস্থিতিতে পৌরসভার সাপটানা কবরস্থান থেকে জলিলের লাশ উত্তোলন করা হয়।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গেই ছিলেন পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল। ওইদিন গভীর রাতে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার পর তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভোরের দিকে মমিনা বেগম চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে জলিলের নাকে ও মুখে রক্ত বের হতে দেখেন এবং পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী মৃত্যু নিশ্চিত করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আল সোহান জানান, আদালতের নির্দেশে ১১ দিন পর মৃত জলিলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জলিলের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য