বিকাশ ভবনের বাইরে পাঁচ শিক্ষিকার বিষ খাওয়ার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেই কাঠগরায় তুলল বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন স্পষ্ট করেই বলেছেন, সরকার গা করেনি বলেই আজকে এই মর্মান্তিক পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষিকারা। এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূল দাবি করে, ভূভারতে তাদের মতো সরকার আর নেই। আন্দোলনরত শিক্ষিকারা বিষপান করে প্রতিবাদ করলেন, এতেই বোঝা যাচ্ছে হতাশা ক্ষোভ কোথায় গেছে!
৫ লক্ষের বেশি সরকারি শূন্যপদ ধ্বংস করা হয়েছে। এই রাজ্যে একজন পূর্ণ সময়ের শিক্ষামন্ত্রী চাই। এই পরিস্থিতি মর্মান্তিক এবং হৃদয়বিদারক। সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। এই ঘটনার পুণরাবৃত্তি যেন না হয়, সরকারের কাছে আবেদন করছি।’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষকদের বিষ খাওয়ার ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু তাঁরা কেন এটা করলেন সেই বিষয়ে সরকারের উত্তর কী? চাকরিপ্রার্থীদের কথা শোনার মতো কেউ নেই। তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরো পড়ুন : দিল্লির নেতাদের সঙ্গে ঘনঘন ফোন, সভাপতি পদ থেকে কি সরছেন দিলীপ ঘোষ? গুঞ্জন বিজেপিতে
প্রতিবাদ করলেই পুলিশ দিয়ে তাঁদের জেলে ঢোকাচ্ছে সরকার। যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের যেখানে খুশি বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। সুন্দরবন থেকে একেবারে সব গুটিয়ে দিনহাটা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সমস্যার কথা সরকার শুনছে না। তাহলে তো প্রতিবাদ হবেই।’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা আমরা তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এর সঙ্গে বদলির ব্যাপার জড়িত। আপাতত যাঁরা এই ঘটনায় জড়িয়েছেন, তাঁদের সুস্থতা কামনা করি। ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু কারা তাঁদের এটা করতে প্ররোচনা দিয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।’
সূত্র : দ্য ওয়াল
